burbhum

গাছতলায় আশ্রয়, বাজ পড়ে মৃত চার

বৃষ্টি পড়ছে দেখে সাত আট জন মাঠের পাশে একটি বটগাছের নীচে সিমেন্টের পাকা বেদিতে আশ্রয় নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট, বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০০:০১
Share:

ক্ষতিগ্রস্ত: বোলপুরে উপড়ে গিয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র

বুধ থেকে বৃহস্পতিবার—এই ২৪ ঘণ্টায় বীরভূমে বাজ পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে মল্লারপুর থানার বিলাশপুর গ্রামে একসঙ্গে মারা গিয়েছেন চার জন যুবক। বুধবার বিকেলে ইলামবাজারে বজ্রাঘাতে মারা যান এক মহিলা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বিলাশপুর গ্রামের ঘটনায় মৃতেরা হলেন বাপন লেট (২২), দীনেশ লেট (২২), আস্তিক লেট(২৮) এবং রাজীব দলুই (২৩)। বাপনের বাড়ি স্থানীয় হাটুরিয়া গ্রামে। অন্য তিন জন বিলাশপুরেরই বাসিন্দা। বজ্রাঘাতে আরও কয়েক জন আহত হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গ্রামের ধারের খেলার মাঠে বসেছিলেন গ্রামের বেশ কয়েক জন যুবক। বৃষ্টি পড়ছে দেখে সাত আট জন মাঠের পাশে একটি বটগাছের নীচে সিমেন্টের পাকা বেদিতে আশ্রয় নেন। তখনই বটগাছের পাশে তালগাছে বিকট শব্দে বাজ পড়ে। সেই বাজেই গুরুতর জখম হন সাত জন। প্রত্যেককে প্রথমে মল্লারপুরে, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহত চার জনকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পথে চার জনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে বিলাশপুরে।

বুধবার ইলামবাজার থানার ঘুড়িষা পঞ্চায়েতের উদয়পুর বজ্রাঘাতেই মারা যান পদ্মা বাগদি (৪০) নামে এক মহিলা। তিনি অজয় নদের ধারে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তিনি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত ন’টা নাগাদ পরিবারের লোকজন নদের ধারে বধূকে পড়ে থাকতে দেখেন।

Advertisement

ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেও মল্লারপুর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। বাজ পড়েছে ঘনঘন। বোলপুর-সহ বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার রাস্তার উপরে একটি গাছ ভেঙে পড়ে। গাছটি রাস্তার উপর থেকে দ্রুত সরানো হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। গাছটির একটি অংশ রাস্তার পাশে থাকা একটি মাংসের দোকানের উপর ভেঙে পড়ায় সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement