Lightning

বজ্রপাতে ফের দু’জনের মৃত্যু

বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার রাজগ্রামের শিমুলডাঙার মল্লপাড়ার মাছ-ব্যবসায়ী ভোলানাথ মল্লর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ০৬:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বজ্রপাতে শনিবার বাকুঁড়া জেলার দু’জায়গায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। অন্যত্র মৃত্যু হয়েছে ২২টি ভেড়ার। এ দিন ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। বাজও পড়ছিল। তাতেই মৃত্যু হয় বড়জোড়ার হরিণাগাড়া গ্রামের বুধন বাউড়ি (৪০) বাঁকুড়া সদর থানার রাজগ্রামের ভোলানাথ মল্লর (৩৫)। পাত্রসায়র স্টেশনের কাছে বাজ পড়ে ভেড়ার মৃত্যু হলেও দু’জন মেষপালক সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বড়জোড়ার হাটআশুরিয়া পঞ্চায়েতের হরিণাগাড়া গ্রামের বুধনবাবু পেশায় খেতমজুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে অন্যের জমিতে চাষের কাজে গিয়ে বজ্রাহত হন তিনি। উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে রয়েছে। এ দিন বিকেলে পরিবারটির সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্য করেছেন বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়।

বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার রাজগ্রামের শিমুলডাঙার মল্লপাড়ার মাছ-ব্যবসায়ী ভোলানাথ মল্লর। ভোরে বৃষ্টির মধ্যেই স্থানীয় আড়ৎ থেকে মাছ আনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বজ্রাহত হন। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দু’বছরের শিশু সন্তান। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে।

Advertisement

অন্য দিকে, পাত্রসায়র স্টেশনের কাছের একটি মাঠে শুক্রবার রাত থেকে ভেড়ার পাল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন দুই মেষপালক। ভোরে বাজ পড়ে ২২টি ভেড়ার মৃত্যু হয়। আহত দুই মেষ পালককে উদ্ধার করে পুলিশ পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তাঁরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাজ পড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরে, সচেতনতার প্রচারে নেমেছে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন। তবুও বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোলের শিক্ষক সুব্রত পান বলেন, ‘‘কলেজের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের তথ্য অনুযায়ী, গত কুড়ি বছরে উষ্ণতা ক্রমশ বেড়েছে। উষ্ণায়ন বজ্রপাতের অন্যতম কারণ।’’ তিনি জানান, মাটি খুব শুকনো থাকলে বা খুব আর্দ্র থাকলে গরম বায়ু দ্রুত উপরে ওঠে এবং ঠান্ডা বায়ু নীচে নামে। দুই বায়ুর ঘর্ষণে বজ্রপাত হয়। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এখন সবার উচিত সাবধানতা মেনে চলা। বজ্রপাতের সময় নিরাপদ কোনও আশ্রয়ে থাকা দরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement