ভোগান্তি: লিফট খারাপ। ওঠানামা করতে হচ্ছে সিঁড়ি ভেঙে। সিউড়ির গোলবাড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে লিফট। আর তার জেরে সিউড়ির পাঁচ তলা গোলবাড়িতে ওঠানামায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সিঁড়ি ভাঙতে অসুবিধা হচ্ছে বয়স্কদের।
সিউড়ি পুরসভার কাছে রয়েছে জেলা পরিষদের দেখভালে থাকা বহুতল গোলবাড়ি। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য বাম আমলে ওই ভবন তৈরি করা হয়। যদিও, ওই ভবন ব্যবসার কাজে সে ভাবে ব্যবহৃত হয়নি বললেই চলে। দীর্ঘদিন ধরে ওখানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ছিল। বছর দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ওখান থেকে সরে যাওয়ার পরে গোলবাড়িতে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি দফতর শুরু হয়। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সরে যাওয়ার কয়েক মাস পরেই লিফট খারাপ হয়ে যায়। তা আর সারানো হয়নি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই গোলবাড়ির চার তলায় রয়েছে কৃষি অধিকার মৃত্তিকা সংরক্ষণ শাখা অফিস এবং পাঁচ তলায় সমবায় দফতর। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সমবায় দফতরে নানা কাজে আসেন। তাঁদের অনেকেই বয়স্ক। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা জানালেন, গত দু’বছর ধরে এই বিল্ডিংয়ের লিফট খারাপ থাকায় সিঁড়ি ভেঙেই পাঁচ তলায় পৌঁছতে হয় ওই দফতরে আসা মানুষজনদের। একই সমস্যা হয় কৃষি দফতরের ক্ষেত্রেও। বয়স্ক মানুষ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পক্ষে এতটা সিঁড়ি ভাঙা খুবই কষ্টের। লিফট ঠিক হয়ে গেলে তাঁদের খুবই উপকার হবে। কৃষি দফতরের কর্মী রাখি দাস, কৌশিক মজুমদার বলেন, ‘‘মাস তিনেক হল আমাদের অফিস এখানে এসেছে। সেই থেকেই দেখছি, লিফট বিকল। তাই আমাদের রোজই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হয়।’’ তাঁদের সংযোজন, ‘‘নভেম্বর মাসে পেনশন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনেক অবসরপ্রাপ্তকে আসতে হয়েছে। তাঁরা এতটা উঁচুতে উঠতে হাঁফিয়ে গিয়েছিলেন।’’ অন্য একটি দফতরের কর্মীদের দাবি, তাঁরা জেলা পরিষদকে জানিয়েছেন। কিন্ত সমস্যা মেটেনি।
সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লিফটের সমস্যা সমাধানের জন্য সমবায় দফতরের আধিকারিকেরাও বহুবার জেলা পরিষদে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এই নিয়ে জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহের আশ্বাস, ‘‘আমরা দ্রুত ওই লিফট চালু করার ব্যবস্থা করব।’’