ছাইয়ের দাপট
এমটিপিএসের ছাই পুকুরের সামনেই আমাদের লটিয়াবনি গ্রাম। এই ছাই পুকুর থেকে বছরভর ছাই উড়ে আশপাশে ছড়াচ্ছে। এতে গ্রামে টেকা দায় হয়ে উঠেছে আমাদের। শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছে। অনেকেরই নানা চর্মরোগ, পেটের রোগ হচ্ছে। ডাক্তাররা এই সব সমস্যার জন্য ছাই দূষণকেই দায়ী করছেন। আমাদের আবেদন হ,য় এই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন দেওয়া হোক, অথবা ছাই ওড়া বন্ধ করতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হোক।
বারাণসী মণ্ডল। ঠিকাশ্রমিক, লটিয়াবনি।
বাজার চাই
ব্লক সদর হলেও গঙ্গাজলঘাটিতে এখনও নাগরিক পরিষেবা ঠিকমতো পৌঁছয়নি। যা যা পরিকাঠামো থাকা উচিত ছিল, তার অনেকই এখনও গড়া হয়নি। বিশেষ করে সব্জি বাজারের অবস্থা শোচনীয়। আলাদা করে কোনও ছাউনি দেওয়া স্থায়ী বাজার তৈরি করা হয়নি। তাই খোলা আকাশের নীচে, পথঘাটের ধারেই বসে পড়েন সব্জি ও মাছ বিক্রেতারা। এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়কেই সমস্যায় পড়তে হয়। নোংরাও হয় এলাকাগুলি। গঙ্গাজলঘাটির উপর দিয়ে গিয়েছে রানিগঞ্জ-বাঁকুড়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এটি জেলার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। অথচ এই রাস্তা ঘেঁষেই বসে বাজার। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থেকেই যায়। এ ছাড়া পুরো বাজারটিই খোলা আকাশের নীচে। তাই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজেই সব্জি বেচাকেনা চলে। বাজারে আসা ক্রেতারাও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে পান না। তাই প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন গঙ্গাজলঘাটিতে যদি একটি মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে দেওয়া যায় তাহলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবেন।
সুখেন বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যবসায়ী, গঙ্গাজলঘাটি।
চাই উড়ালপুল
দুর্লভপুর ঢোকার মুখে বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেই পড়ছে ডিভিসির বিদ্যুৎ প্রকল্পের রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০টি মালগাড়ি যাতায়াত করে। এক একটি মালগাড়ি যাতায়াতের সময় অন্তত ২০ মিনিট ধরে বন্ধ থাকে রাস্তার যানবাহন চলাচল। দিনভর দফায় দফায় এ ভাবে রাস্তার উপরে আটকে পড়েন বহু মানুষ। ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল-কলেজে পৌঁছতে পারেন না। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় সবাইকেই। দীর্ঘক্ষণ ধরে রেল গেট পড়ে থাকায় যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। রেল গেট উঠে গেলেও যানজট কাটিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগে। এমটিপিএসকে এখােন উড়ালপুল করার দাবি একাধিকবার জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কাজ হয়নি। কবে গঙ্গাজলঘাটির মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্ত হবে তার সঠিক উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না। এমটিপিএস কর্তৃপক্ষকে আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব উড়ালপুল তৈরি করা হোক এখানে। এ ছাড়াও দুর্লভপুর মোড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ট্রাক পার্কিং জোন করা হলে উপকৃত হব।
সংহতি ঢাং। কলেজ ছাত্রী, দুর্লভপুর।
হাতি সমস্যা কাটবে কবে
বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গল এখন হাতিদের আস্তানা হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকটি হাতি সারা বছর এখানে থাকছে। তারাই লোকালয়ে চলে এসে মানুষকে মারছে। জমি, ফসল সব উজাড় করছে। অনেকে হাতির হানায় জখম হয়ে কর্মক্ষমতা খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, একের পর এক ঘরবাড়ি ভাঙছে হাতির দল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সন্ধ্যার পরে কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে সাহস পারছে না হাতির ভয়ে। এ ভাবে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের পর গ্রাম দিনের পর দিন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। গ্রামে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বন দফতরের কর্মীরা আসেন আর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে যান। সে টাকা মিলতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। তবে প্রাণের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দিয়ে সমস্যাকে মেটানো যাবে না। আমরা হাতি সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি চাই। বনদফতর এ বার সেই চিন্তা ভাবনা করুক।
সঞ্জয় ঘোষ। কৃষক, বাঁকদহ।
সাজানো হোক অবহেলিত গাংদোয়া জলাধার
জলাধারকে কেন্দ্র করে নানা জায়গায় গড়ে উঠেছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দুর্গাপুর ব্যারাজ, মাইথন, মুকুটমণিপুর-সহ আরও অনেক জায়গা। কিন্তু গঙ্গাজলঘাটির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গাংদোয়া জলাধার কিন্তু এখনও সে দিক থেকে অবহেলিতই বলা যায়। শালি নদীর উপরে সত্তরের দশকের শেষ দিকে তৎকালীন রাজ্য সরকার সেচ ব্যবস্থা গড়ার জন্য এই ড্যাম তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে জেলার অন্যতম চড়ুইভাতি কেন্দ্র হল এই সুবৃহৎ জলাশয়। আশেপাশেই রয়েছে অমরকানন তপোবন পাহাড় ও শময়িতা মঠ। যা দেখতে ফি বছর শীতে মানুষের ঢল নামে এখানে। অথচ আধুনীক মানের পর্যটন কেন্দ্রের ন্যূনতম পরিকাঠামোও নেই এখানে। পর্যটকদের থাকার জন্য কোনও সরকারি ব্যবস্থাও নেই। গাংদোয়া যাওয়ার রাস্তাও কাঁচা। এই সমস্ত কারণে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে গাংদোয়া। জেলা প্রশাসন যদি এই জলাধারটিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার বিষয়ে পদক্ষেপ করে, তাহলে এলাকার বহু বেকার ছেলের কর্ম সংস্থানেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
সত্যপ্রিয় সিংহ। স্কুল শিক্ষক, অমরকানন।