এই আন্দোলনে কোনও দলই তাদের রাজনৈতিক পতাকা আনেনি। ‘বিশ্বভারতীর সাধারণ ছাত্রছাত্রী’ এই ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
বিশ্বভারতীর পডুয়াদের মিছিল নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও হস্টেল খোলেনি। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পডুয়াদের। বাইরে প্রচুর টাকা বাড়িভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। তা ছাড়া অনলাইনে পড়াশোনা হলেও অফলাইনে পরীক্ষার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের তরফে। এতে সমস্যা বাড়ছে পড়ুয়াদের। অবিলম্বে হস্টেল খোলা এবং অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে এক জোট হয়ে আন্দোলনে নামল বাম-তৃণমূল ছাত্র সংগঠন।
এই আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উতপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। প্রতিবাদী পড়ুয়ারা প্রথমে ভাষা ভবনে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। এর পরেই তারা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতর অর্থাৎ সেন্ট্রাল অফিসে তালা খুলে প্রবেশ করে। অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা।
উল্লেখযোগ্য, এই আন্দোলনে কোনও দলই তাদের রাজনৈতিক পতাকা আনেনি। ‘বিশ্বভারতীর সাধারণ ছাত্রছাত্রী’ এই ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে স্থানীয়রা।
তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র বিশ্বভারতী ইউনিটের সভাপতির মীনাক্ষি ভট্টাচার্যর দাবি, ‘‘এ কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই আমাদের এই উদ্যোগ।’’
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর বাম ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে রাজনৈতিক পথ ভুলে তারা অংশগ্রহণ করেছে। এতে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ নেই। শুধুমাত্র রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে এই আন্দোলন।