kanyasree

Kanyasree: শৌচাগার ব্যবহারের বার্তা দিতে পথে ‘কন্যাশ্রী’রা

পুরুলিয়া ১ ব্লক কার্যালয় থেকে শিমুলিয়া বাইপাস হয়ে ব্যাটারি ময়দান পর্যন্ত প্রায় কিলোমিটার পথ কন্যাশ্রীদের সঙ্গে সাইকেলে যান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২ ১০:২৩
Share:

সাইকেলে প্রচারে ছাত্রীরা। সঙ্গী প্রশাসনের কর্তারাও। ছবি: সুজিত মাহাতো

শৌচাগার তৈরির প্রশ্নে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে পর্যবেক্ষণ পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের। এ পরিস্থিতিতে ‘কন্যাশ্রী’দের কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। শনিবার, নতুন বছরের প্রথম দিনে ‘ঘরে ঘরে শৌচাগার, করব সবাই ব্যবহার’ স্লোগান নিয়ে পথে নামল ‘কন্যাশ্রী’রা।

Advertisement

এ দিন হুড়া থেকে ঝালদা বা বাঘমুণ্ডি থেকে নিতুড়িয়া—সর্বত্রই সাইকেলে সওয়ার হয়ে ‘কন্যাশ্রী’রা সচেতনতা প্রচার চালায়। তাদের সঙ্গে সাইকেলে চড়ে পরিবেশ রক্ষার শপথে যোগ দিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। পুরুলিয়া ১ ব্লক কার্যালয় থেকে শিমুলিয়া বাইপাস হয়ে ব্যাটারি ময়দান পর্যন্ত প্রায় কিলোমিটার পথ কন্যাশ্রীদের সঙ্গে সাইকেলে যান তাঁরা। কর্মসূচির আগে, জেলার সব ব্লকের ‘কন্যাশ্রী’ বড়দিদের নিয়ে একটি কর্মশালাও হয়েছে।

জেলাশাসক বলেন, “এ বারে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের স্লোগান ‘পরিষেবা থেকে পরিবেশ’। ওই কর্মসূচির শিবিরে শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বার্তা দেবে কন্যাশ্রীরা।” সভাধিপতি বলেন, “শৌচাগার থাকলেও তা সব জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে না। এ অভ্যাস বদলের প্রয়োজন।”

Advertisement

এ দিনের কর্মসূচিতে শামিল কাশীপুরের তালাজুড়ি শ্রীমতী হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমনা চট্টোপাধ্যায়, রঘুনাথপুর ২ ব্লকের চেলিয়ামা গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির মহুয়া বাউড়ি বা বরাবাজারের লটপদা গ্রামের সদ্য স্নাতক রত্নাবলী শবরদের কথায়, “শৌচাগার ব্যবহার করলে যে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়, শৌচাগার যে আমাদের সম্মান, আমাদের অধিকার—সে কথা আমরা মানুষকে বোঝাব।” বোঙাবাড়ি গার্লসের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অন্বেষা পাঠকও জানায়, শৌচাগারে জ্বালানি কাঠ রাখা হবে এবং ঘরের মেয়েরা মাঠে-পুকুরে শৌচ করতে যাবে, এ ছবিটা এ বারে বদলানো দরকার। আর তা করতেই পথে নামা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) কৃত্তিকা শর্মার কথায়, “আমি শৌচাগার ব্যবহার করি, আপনি করেন তো— কন্যাশ্রীদের মাধ্যমে এ আবেদন জানানো হবে।”

কেন ‘কন্যাশ্রী’রাই এই বদলের সৈনিক? সভাধিপতি বলেন, “ঘরের মেয়ের করা আর্জি যত সহজে পৌঁছয়, আমাদের পক্ষে ততটা সহজ নয়। তাই পরিবর্তনের অগ্রদূতেরাই অভ্যাস পরিবর্তনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে।” জেলাশাসকও বলেন, “কন্যাশ্রীরা নিজেদের, পরিবার ও সমাজের জন্য কাজ করছে। এ অভিযানেও তারা সফল হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement