Madhyamik Examination

অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে কন্যাশ্রী কলমও

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫,০৩২। তাদের মধ্যে ছাত্র ২০,৪৫৫, ছাত্রী ২৪,৫৫৭।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩০
Share:

শুভেচ্ছা-সহ। নিজস্ব চিত্র

অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীদের হাতে শুভেচ্ছা হিসেবে ‘কন্যাশ্রী-কলম’ তুলে দিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে জেলার সব স্কুলে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। সেখানেই স্কুল থেকে ওই কলমও দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫,০৩২। তাদের মধ্যে ছাত্র ২০,৪৫৫, ছাত্রী ২৪,৫৫৭। ছাত্রীদের সকলেই কন্যাশ্রী (কে-ওয়ান) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। নারী শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা এলাকা জয়পুরের বারবেন্দ্যা হাইস্কুলে গিয়ে এ দিন পরীক্ষার্থী ছাত্রীদের হাতে কন্যাশ্রী-কলম তুলে দেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। কলম দিতে গিয়েছিলেন জয়পুর গার্লস হাইস্কুলেও। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মাধ্যমিক সবার কাছেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার আগে কন্যাশ্রীদের হাতে কলম তুলে দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে প্রশাসন।’’

স্কুলছুটের দিক দিয়ে জয়পুর ব্লক জেলায় প্রথম সারিতে। মাধ্যমিকে গত বারের থেকে এ বার ছাত্র বেড়েছে ১৭০, ছাত্রী বেড়েছে ১৯৩ জন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে কন্যাশ্রী প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকল্পের হাত ধরে ছাত্রীরা এখন প্রত্যন্ত এলাকাতেও এগিয়ে আসছে। নিজেদের সমস্যা নিয়ে সরব হচ্ছে। তাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। যা তাঁদের পড়াশোনাতেও প্রভাব ফেলছে। স্কুলে দিয়ে লেখাপড়া করে বড় হওয়ার ইচ্ছাটা গ্রামের মেয়েদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে। এ কথা মাথায় রেখেই কন্যাশ্রীদের হাতে শুভেচ্ছা হিসেবে কলম তুলে দেওয়া হল। সেই কলম দিয়েই তারা লিখবে।’’

Advertisement

পুরুলিয়া জেলা কন্যাশ্রী প্রকল্পের স্লোগান— ‘আমার মেয়ে সব জানে’। নীল রঙে ওই স্লোগানই লেখা রয়েছে সাদা কলমের উপরে, পাশে লেখা ‘কন্যাশ্রী’। এই প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার সূর্যকুমার জানা বলেন, ‘‘এটা ওদের ভাল লাগবে।’’

অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে কন্যাশ্রী-কলম পেয়ে স্বভাবতই খুশি বারবেন্দ্যা হাইস্কুলের ছাত্রী অর্চনা কুমার, পূর্ণিমা কুমার-সহ অনেকেই। তাদের কথায়, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষা মানে নতুন পিচবোর্ড, নতুন কলম। এটা আমাদের সংস্কার। উপহার পেয়ে ভাল লাগছে।’’ দু’টি স্কুলেই উপস্থিত ছিলেন ঝালদার মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত, বিডিও (জয়পুর) বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement