Kanyashree

Kanyashre: এক দিনের আধিকারিক হয়ে আপ্লুত ছাত্রী

মহকুমা কার্যালয় থেকে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ওই তরুণীর বাড়িতে গাড়ি পাঠানো হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী বাগাম্বর মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

বৃষ্টি মণ্ডল (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

কোনও ‘কন্যাশ্রী’কে এক দিনের মহকুমাশাসক করার পরিকল্পনা করেছিল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন। তার জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়। সেখানে সেরা হয়ে সোমবার এক দিনের জন্য রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক হন রঘুনাথপুর শহরের গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী বৃষ্টি মণ্ডল। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন বৃষ্টি। আইএএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি আধিকারিক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।

Advertisement

প্রশাসনিক কাজে এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন বৃষ্টি। কেমন লাগল? তাঁর উত্তর, ‘‘খুব কাছ থেকে দেখলাম। শিখলাম, কী ভাবে প্রশাসনের আধিকারিকরা কাজ করেন, কী ভাবে মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। আইএএস পরীক্ষায় সফল হওয়ার জেদ বাড়ল।”

গোটা পরিকল্পনা মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্যের। গত শনিবার (১৪ অগস্ট) ‘কন্যাশ্রী দিবসে’ তিনি নিজের কার্যালয়ে আয়োজন করেন এক প্রতিযোগিতার। ডাকা হয় রঘুনাথপুর শহরের চারটি স্কুলের ১৫-১৭ বছরের ২০ জন ছাত্রীকে। বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় সেরাকে।

Advertisement

মহকুমা কার্যালয় থেকে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ওই তরুণীর বাড়িতে গাড়ি পাঠানো হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী বাগাম্বর মণ্ডল। বৃষ্টিকে নিয়ে প্রিয়দর্শিনীদেবী যান রঘুনাথপুর কলেজের মাঠে ‘খেলা হবে’ দিবসের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। পরে, ট্রাক ও মোটরবাইক আটকে বৈধ নথিপত্র আছে কিনা, তা কী ভাবে দেখা হয়, শেখেন বৃষ্টি। পরে, তাঁকে রঘুনাথপুর গার্লস হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃষ্টির কথায়, ‘‘কী ভাবে দুয়ার সরকার কর্মসূচি চলছে, সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে চলছে কিনা, তা সবাই মিলে দেখেছি।”

বৃষ্টিকে নিয়ে মহকুমাশাসক তাঁর বাংলোয় দুপুরের খাবার সারেন। তার পরে, তাঁকে নিয়ে যান পুরুলিয়ার সার্কিট হাউসে। সেখানে জেলা প্রশাসনের অন্য় আধিকারিকদের সঙ্গে পরিচিত হন বৃষ্টি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পর্যালোচনা হয় ওই ছাত্রীর সামনে। সন্ধ্য়ায় সরকারি গাড়িতে বাড়ি ফেরেন বৃষ্টি। বলেন, ‘‘দারুণ অভিজ্ঞতা হল। ইচ্ছা আছে, বড় হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক হব। আগাম একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম।’’
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘বড় হয়ে যে ছাত্রী প্রশাসনের আধিকারিক হতে চায়, তাকে সুযোগ দিয়েছিলাম আধিকারিকেরা কী ভাবে কাজ করে তা দেখার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement