নজরে: বাসের ছাদে যাত্রী রুখতে পুলিশ, প্রশাসনের অভিযানের মধ্যেই (নীচে) অন্য ছবি সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছাদে যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ হলেও অনেক বেসরকারি বাস সেই নিয়ম মানে না বলে অভিযোগ। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়াতে তা রুখতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও হাটজনবাজারে যৌথ অভিযান চালাল পুলিশ ও জেলা পরিবহণ দফতর।
যদিও এ দিন বাসের ছাদে কোনও যাত্রীকে উঠতে দেখেননি পরিবহণ ও পুলিশ আধিকারিকেরা। ত্রুটি মেলেনি ‘স্পিড-লিমিট’ যন্ত্রেও। তবে পুলিশ ও পরিবহণ আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন, অন্য দিনে এর উল্টো ছবিই দেখা যায়। সম্ভবত অভিযানের আগাম ইঙ্গিত পেয়েই সতর্ক ছিলেন বাসমালিকপক্ষ।
তৃণমূল প্রভাবিত জেলা বাসমালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস মুখোপাধ্যায় অবশ্য সে কথা মানেননি। তিনি বলছেন, ‘‘যাত্রীসুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে অভিযান চলতেই পারে। তা স্বাগত। তবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে অনেক আগেই বাসের ছাদে উঠার সিঁড়ি খুলে নিয়েছি। লোক চাপানোও বন্ধ।’’
জেলা পরিবহণ আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলছেন, ‘‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি বাসের সিঁড়ি খুলে নিতে বলা হয়েছে। তার পরেও ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে ওঠার চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়নি।’’ তিনি জানান, সম্প্রতি পরিবহণ সচিব দুর্ঘটনা এড়াতে ও যাত্রী সুরক্ষায় এ ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চলেছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবহণ দফতরের কর্তারা তো ছিলেনই, অভিযানে ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার (আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক) অভিষেক মণ্ডল, সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস পান্ডা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এমন উদ্যোগ শুধু বেসরকারি বাসের জন্য প্রয়োগ না করে সরকারি বাসের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করতে পরিবহণ ও পুলিশকর্তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। শুভাশিসবাবুর অভিযোগ, সিঁড়ি সরকারি বাসেও লাগানো থাকে। বাসের ছাদে যাত্রীও ওঠে। ‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’ বা সিএসএল-এ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বাঁধা থাকলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানেন না সরকারি বাসের অনেক চালকও।
প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, বাসমালিক সংগঠনের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।