Jhalda

Tapan Kandu: পুলিশই সব ষড়যন্ত্র করেছে, তপন খুনে এসপি-র দাবি উড়িয়ে বললেন স্ত্রী পূর্ণিমা

তপনের দাদা নরেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেলা পুলিশের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে নয়, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে কাউন্সিলরকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৮
Share:

তপন খুনে পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই, বললেন পূর্ণিমা

স্বামী তপন কান্দুর খুনে সব ষ়ড়যন্ত্র করেছে পুলিশই। নিজেদের দোষ ঢাকতে দাদা নরেন কান্দুকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। রবিবার পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সাংবাদিক বৈঠকের পর আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই বললেন ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কাউন্সিলর খুনে আইসি সঞ্জীব ঘোষের কোনও হাত নেই বলে পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন যে দাবি করেছেন, তা-ও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পূর্ণিমা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আপাতত কলকাতা হাই কোর্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।

শনিবার সকাল থেকে তপনের দাদা নরেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেলা পুলিশের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে নয়, পারিবারিক কারণেই খুন হতে হয়েছে কাউন্সিলরকে। এর পর ররিবার সাংবাদিক বৈঠকে সুপার বলেন, ‘‘তপন কান্দু খুন মূল ষড়যন্ত্রী নরেন কান্দু। পুলিশের হাতে তার প্রমাণ রয়েছে। সমস্ত প্রমাণই আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’ সেলভামুরুগন এ-ও বলেন, ‘‘তপনকে খুনের জন্য কলেবরদের সাত লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল।’’

Advertisement

পুলিশের এই সমস্ত দাবিই খারিজ করে পূর্ণিমা বলেন, ‘‘পুলিশই সব ষড়যন্ত্র করেছে। আর এখন নরেন কান্দুকে দিয়ে এই সব বলাচ্ছে। আমি পুলিশের তদন্ত মানি না।’’

সাংবাদিক বৈঠকে সুপার দাবি করেছেন, তপন খুনে আইসি-র যোগ নেই। পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি পুর্ণিমা। তিনি শুরু থেকেই আইসি-র বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আইসি যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হন, তা হলে উনি কেন আমার স্বামীকে ফোন করে তৃণমূলে যোগ দিতে বলতেন? কেন হুমকি দিতেন?’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, তপনের মৃত্যুর পরেই পূর্ণিমা দাবি করেছিলেন, আইসি প্রায়ই সঞ্জীবকে ফোন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের আবহে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে তপনের পরিবারকে হুমকি এবং পূর্ণিমাকে বয়ান বদলের জন্য চাপ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। যদিও রবিবার জেলা পুলিশ অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার বিষয়টিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবেই দেখছে।

পূর্ণিমা স্পষ্ট বললেন, পুলিশ তদন্তে তাঁর বিশ্বাস নেই। আপাতত হাই কোর্টের উপরেই আস্থা রাখছেন তিনি। তবে, বিচার না-পেলে বড় আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাউন্সিলরের স্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘হাই কোর্টের উপর আমার আস্থা আছে। দেখি কী হয়। কিছু না হলে বড় আন্দোলনে নামব। সমস্ত ঝালদাবাসী আমার সঙ্গে আছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement