বাড়ি দেখে চোখ কপালে সেচ-কর্তাদের

নদীর গতিপথ আটকে গড়ে উঠছে আস্ত বাড়ি। এই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠল গন্ধেশ্বরী নদীতে পরিদর্শনে আসা সেচ দফতরের আধিকারিকদের। নির্মাণ কাজের পিছনে আসল মাথা কারা তা তদন্ত করে খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশের দারস্থ হয়েছে সেচ দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০১:৪৯
Share:

নির্মাণের ছবি তুলছেন আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র

নদীর গতিপথ আটকে গড়ে উঠছে আস্ত বাড়ি। এই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠল গন্ধেশ্বরী নদীতে পরিদর্শনে আসা সেচ দফতরের আধিকারিকদের। নির্মাণ কাজের পিছনে আসল মাথা কারা তা তদন্ত করে খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশের দারস্থ হয়েছে সেচ দফতর।

Advertisement

বাঁকুড়া শহরের গা ঘেঁষে চলা গন্ধেশ্বরী নদীর বুকে একটি নির্মাণ নিয়ে সম্প্রতি আপত্তি তুলেছিলেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এলাকার এক বাসিন্দা বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও নির্মাণ বন্ধ করতে দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে বাঁকুড়ার জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু সেচ দফতরকে বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে বলেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে সেচ দফতর। বুধবারই কংসাবতী সেচ দফতরের বাঁকুড়া মহকুমা আধিকারিক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বিবেকানন্দ চৌধুরী গন্ধেশ্বরী নদীতে ওই নির্মাণ পরিদর্শন করতে যান। নদীর বুকে কয়েক কাঠা জমিতে ওই নির্মাণ দেখে দৃশ্যত অবাক হয়ে যান তাঁরা। ওই নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথ রুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন অমিতাভবাবু। তিনি বলেন, “যা দেখলাম তার বিস্তারিত রিপোর্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দেব।”

Advertisement

এ দিকে আধিকারিকেরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই সেচ দফতরের তরফে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত ভাবে ঘটনাটি জানানো হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই নির্মাণের সঙ্গে কারা জড়িত তা আমাদের তদন্ত করে বের করতে বলেছে সেচ দফতর। তবে এখনও সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ হয়নি। আমরা তদন্ত করে দফতরকে রিপোর্ট দেব। তারপরে দফতর চাইলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করতেও পারে।”

জেলা সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, নদীর গতিপথ আটকে নির্মান কাজ করাটাই অবৈধ। সবিস্তারে জেলা শাসককে বিষয়টি জানানো হবে। পাশাপাশি যে জমিতে নির্মাণ হচ্ছিল সেটি সরকারি না কি কারও ব্যক্তিগত মালিকানায় রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “জেলা সেচ দফতর তদন্ত করছে। বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নতুন করে পদক্ষেপ করা হবে।”

বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা বলেন, “গন্ধেশ্বরী নদীর উপর বাঁকুড়ার মানুষ অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।” দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি এবং নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবি তুলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement