হাজির বিজ্ঞানমঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র
আচমকা আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে ঘরের মধ্যে। কখনও দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারে। কখনও আবার বাড়ির পিছনের বাগানে বা বারান্দায় রাখা কোনও দাহ্য বস্তুতে। গত চার দিন ধরে পুরুলিয়ার কাশীপুরে পঞ্চকোট রাজবাড়ি লাগোয়া একটি বাড়িতে এমনই ঘটছে বলে দাবি ওই বাড়ির বাসিন্দাদের।
বুধবার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক তথা চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিল পুলিশও। নয়নবাবুর দাবি, ‘‘কে বা কারা আগুন লাগাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বলতে পারব না। তবে আগুন যে লাগানো হচ্ছে, সেটা আমরা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি।’’
রাজবাড়ি লাগোয়া ওই বাড়িটি বহু পুরনো। সেখানে এখন বাস করেন রাজ পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তাঁরা দাবি করেন, গত চার দিন ধরে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আচমকা আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যাচ্ছে। রাজবাড়ির বাসিন্দা পূর্ণিমা সিংহ দেও বলেন, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না কী ভাবে আগুন লেগে যাচ্ছে।’’ পূর্ণিমাদেবীর নাতি সর্বজিতের কথায়, ‘‘এক দিন দেখি, আলমারির উপরে রাখা একটি বই জ্বলছে। কখনও দেখা যাচ্ছে, দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারে আগুন ধরে গিয়েছে।’’
বাড়িটির যে জায়গাগুলিতে আগুন লেগেছিল, সেই স্থানগুলি এ দিন ঘুরে দেখেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। বই, প্লাস্টিকের ট্রে, কাঠের টুকরো-সহ আধপোড়া বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করেন নয়নবাবুরা। ঘুরে দেখেন গোটা বাড়ি। বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। ওই পরিবারের যে সদস্যেরা আগুন জ্বলতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন নয়নবাবু। পরে তিনি বলেন, ‘‘গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেছি। ওই পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনার পিছনে অলৌকিক কিছু নেই। সবই অপপ্রচার। পরীক্ষার জন্য কিছু জিনিস সংগ্রহ করেছি।’’
পূর্ণিমাদেবী বলেন, ‘‘যে ভাবে আগুন লেগে যাচ্ছে, তাতে বাড়িতে থাকতে ভয় লাগছে।’’ নয়নবাবু বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যদের বাড়িতেই থাকতে বলেছি। প্রয়োজনে ফের যাব সেখানে।’’ ওই পরিবারের সদস্যদের কয়েকটি বিষয় নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)