TMC

বঞ্চনার নালিশ তুলে  গরহাজির সম্মেলনে

দলের অন্দরের খবর, মাস খানেক আগে সাংগঠনিক পদে রদবদলের সময়ে কংসাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ওই পাঁচ পঞ্চায়েতের নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কমিটি ঘোষণার পরেই পাঁচ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকেও বসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের মানবাজার বিধানসভার কর্মী সম্মেলন এড়িয়ে গেলেন পুঞ্চা ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতের নেতা-কর্মীরা। শনিবার পুঞ্চার লৌলাড়ার ওই সম্মেলনকে ঘিরে ওই এলাকায় তৃণমূলের দ্বন্দ্বের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু রবিবার বলেন, ‘‘বিধানসভার সব অঞ্চলের প্রতিনিধিরা ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকলে ভাল লাগত। কংসাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ওই পাঁচ পঞ্চায়েতের নেতাদের ক্ষোভের কথা জেনেছি। শীঘ্র তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’

Advertisement

মানবাজার বিধানসভায় মানবাজার ও পুঞ্চা ব্লকের ১০টি করে এবং হুড়া ব্লকের ৩টি পঞ্চায়েত রয়েছে। কংসাবতী নদী পুঞ্চা ব্লককে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিম প্রান্তের কেন্দা থানা এলাকার পাঁচটি অঞ্চল: কেন্দা, পানিপাথর, পিঁড়রা, জামবাদ ও চাঁদড়া-রাজনওয়াগড় পঞ্চায়েত এলাকার কোনও নেতা-কর্মী শনিবারের ওই সম্মেলনে যাননি বলে অভিযোগ।

বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জেলার প্রতিটি বিধানসভা স্তরে দলের জেলা শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন হচ্ছে। শনিবার পুঞ্চার সম্মেলনে ছিলেন মানবাজারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো, দলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি প্রমুখ।

Advertisement

দলের অন্দরের খবর, মাস খানেক আগে সাংগঠনিক পদে রদবদলের সময়ে কংসাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ওই পাঁচ পঞ্চায়েতের নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কমিটি ঘোষণার পরেই পাঁচ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকেও বসেন। তার জেরেই শনিবার সম্মেলন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন এক অঞ্চল সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাংগঠনিক পদে গুরুত্ব না পেলে এলাকায় নিজেদের মতো করে আমরা কর্মসূচি নেব। তবে আমরা তৃণমূলে রয়েছি, তৃণমূলেই থাকব।’’

তৃণমূলের কেন্দা অঞ্চল সভাপতি নিতাই পাল রবিবার দাবি করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আমরা রাজনীতি করে আসছি। সিপিএমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছি। এখন সিপিএম থেকে আসা ব্যক্তিরাই যদি ব্লকের সাংগঠনিক পদ পান, তাহলে আমাদের আন্দোলনের কী দাম রইল? নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের কথা জেলা সভাপতি ও শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি।’’ পুঞ্চা ব্লক সভাপতি তৃণমূল কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সমাধানের জন্য দলে আলোচনা চলছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘যোগ্যতার নিরিখে পদ বণ্টন করা হয়েছে। সব কর্মীই দলের সম্পদ। তবে নদীপারের নেতাদের ক্ষোভ মেটাতে বৈঠকে বসব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement