চাষিদের বিমায় অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপরতা প্রশাসনে

এ ছাড়া যাঁরা আমন চাষে যুক্ত ছিলেন অথবা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদের অধিকাংশকেই বিমার আওতায় নিয়ে আসতে পদক্ষেপ করা হয়।

Advertisement

 নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২৮
Share:

—ফাইল চিত্র

খরিফের মতো গোটা জেলা জুড়ে চাষ না হলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রবি ও গ্রীষ্মকালীন ফসল চাষ করেন এমন চাষিদের সকলকে বাংলা ফসল বিমা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলায়।

Advertisement

ধান এবং গ্রীষ্মকালীন কিছু ফসলের বিমার জন্য আবেদনের জন্য সময় হাতে থাকলেও আলু, গম, ছোলা মুসুর, শীতকালীন ভু্ট্টা, আখ ইত্যাদি ফসলকে বিমার আওতায় আনার জন্য চাষিদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ চলতি মাসের ৩১ তারিখ। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকিং চলছে। বিমা কোম্পানির তরফে একজন করে প্রতিনিধি প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছেন। চাষিদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের কাছ চলছে। তবে যে পরিমাণ কাজ বাকি , সেই তুলনায় গতি এখনও কম বলে দফতর সূত্রে খবর। উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) এ কে এম মিনাজুর আহসান জানান, এ পর্যন্ত কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে, সেই তথ্য আপডেট করা বাকি। তবে গত বারের মতো এ বারও রবি মরসুমে দেড় লক্ষ কৃষককে রাজ্য ফসল বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

বিমা করানোর দায়িত্বে রয়েছে যে সংস্থা রয়েছে তা কত সংখ্যক কৃষককে বিমার আওতায় আনবেন, বিমা কোম্পানির কী ভূমিকা, সরকারি দফতরের আধিকারিকদেরই বা ভূমিকা কী হবে সেটা নিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি বৈঠক হয়েছে জেলাস্তরে। ছিলেন প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। তবে গত জুনে কোভিড পরিস্থিতিতে বিমার জন্য আবেদন করা যতটা সহজ ছিল এ বার সেটা নয়। এত স্বল্প সময়ে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে কী ভাবে সেটা নিয়ে একটা চিন্তা রয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমা কোম্পানির লোকেরাই পঞ্চায়েতের এলাকার কৃষকদের কাছে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও রেজিষ্ট্রেশন করবেন অ্যাপের মাধ্যমে। সহযোগিতায় কৃষি দফতর। সে কাজ শুরু হলেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলা যাচ্ছে না।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই খবর, গত বার পর্যন্ত যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁরা এমনিতেই বিমার আওতায় ছিলেন। এ ছাড়া যাঁরা আমন চাষে যুক্ত ছিলেন অথবা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদের অধিকাংশকেই বিমার আওতায় নিয়ে আসতে পদক্ষেপ করা হয়। আবেদন পদ্ধতির সরলীকরণও করা হয়েছিল সংক্রমণ এড়াতে। কিন্তু এ বার ঋণগ্রস্ত, ঋণ না নেওয়া, কৃষক বাংলা কৃষক বন্ধু পোর্টালের আওতায় থাকা কৃষক যেই হোন না কেন তাঁকে শিবিরে এসে আবেদন জানাতে হবে। দিতে হবে চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ব্যক্তিগত ও জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র।

বোরো ধান চাষের পর সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আলুর। তারপর রয়েছে সর্ষে গম ছোলা মুসুর চাষ। কিন্তু বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমার জন্য আবেদনের সময় রয়েছে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত। একমাত্র আলু ছাড়া অন্য কোনও ফসলের ক্ষেত্রে চাষিদের কোনও টাক দিতে বিমায় কৃষককে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। একমাত্র আলুচাষে কৃষককে বিমাকৃত রাশির উপরে ৪.৮৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হয়। সেটা দিয়ে কত শতাংশ কৃষক বিমার আওতায় আসেন সেটাই দেখার।

রোপণ-বপন, অন্তবর্তীকালীন, ফসল তোলার সময় ক্ষতির বিচার করেই ক্ষতির বিচার করেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার এই কর্মকাণ্ডে জমি-ফসলের স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ এবং ক্ষতি-সমীক্ষার পদ্ধতিতে প্রযুক্তিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাচ্ছে রাজ্য। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করেই সেটা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement