Water Supply

গ্রামে গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে ১২টি গ্রামের ৩৪৯৫টি পরিবারের জন্য সরকারি টিউবওয়েল রয়েছে ২০৫টি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৬:৫০
Share:

বসানো হয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে পড়ে টিউবওয়েল। মিস্ত্রি ডেকে তা মেরামত করতেই পেরিয়ে যায় দিনের পর দিন। সেই সময় অধিকাংশ গ্রামে পানীয় জলের বিকল্প সংস্থান না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের। এ বার সেই দুর্ভোগ দূর করতে উদ্যোগী হল নানুরের দাসকলগ্রাম-কড়েয়া ২ পঞ্চায়েত। গ্রামে গ্রামে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করতে উদ্যোগী হয়েছে ওই পঞ্চায়েত।

Advertisement

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে ১২টি গ্রামের ৩৪৯৫টি পরিবারের জন্য সরকারি টিউবওয়েল রয়েছে ২০৫টি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ টিউবওয়েলই পালাক্রমে বিকল হয়ে থাকে। মেরামত করতে এক মাসেরও বেশি পেরিয়ে যায়। ওই সময় গ্রামে চরম জলকষ্ট দেখা দেয়। পঞ্চায়েত সূত্রেই জানা গিয়েছে, একটি টিউবওয়েল বসাতে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। গড়ে ৮-১০ বছর সেগুলি ঠিকঠাক চলে। তাতেও ফি বছর ৪-৫ হাজার টাকা মেরামত বাবদ খরচ হয়। কিন্তু, কল সারানোর মিস্ত্রির অভাবে সময়মতো মেরামত করা সম্ভব হয় না। তখন গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।

এ বার তাই দাসকলগ্রাম-কড়েয়া ২ পঞ্চায়েত ১২টি গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে ট্যাঙ্ক থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জলসরবরাহ করতে উদ্যোগী হয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিউবওয়েল মেরামতের খরচ বেড়েই চলেছে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ প্রকল্প তুলনামূলক হারে কম বিকল হয়। তাই প্রতিটি গ্রামে ওই প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাইপলাইনে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ৮টি করে কল লাগানো হবে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য চতুর্দশ কমিশন তহবিল থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ বরাদ্দ ধার্য হয়েছে। ইতিমধ্যেই পলশা গ্রামে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

Advertisement

খুশি বাসিন্দারাও। মল্লিকা মণ্ডল, বীথিকা দাসরা বলেন, ‘‘গ্রামে তিনটি টিউবওয়েল আছে। বেশিরভাগ সময় দু’টি খারাপ থাকে। মেরামত হতে মাস লেগে যায়। সেই দুর্ভোগ ঘুচতে চলছে জেনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।’’ পঞ্চায়েতের প্রধান বাণী সাহা বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের বিদ্যুতের বিল মেটাতে উপভোক্তাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হবে। কল ও অন্য মেরামতের খরচ পঞ্চায়েত বহন করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement