music university

সাম্মানিক বাড়ল সঙ্গীত কলেজে 

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের সাম্মানিক বাড়ানোর আবেদন জানালেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ০১:১৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বিষ্ণুপুরের অতিপ্রাচীন রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়। শুক্রবার এমনই আশার কথা শোনা গিয়েছিল। শনিবার বিষ্ণুপুর পুরসভা জানাল, ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সাম্মানিকও তারা বাড়িয়ে দিল।

Advertisement

বিষ্ণুপুর পুরসভার আর্থিক অনুদানে চলে আসছে এই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের সাম্মানিক বাড়ানোর আবেদন জানালেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। পুরসভার নতুন প্রশাসকমণ্ডলী তাঁদের প্রত্যেকের মাসিক সাম্মানিক আপাতত ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল।

এ দিন বিষ্ণুপুরের পুরপ্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মিউজিক কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা যা সান্মানিক পান, তা তাঁদের পক্ষে যথেষ্ট নয়। তবে ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় যত দিন না বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, ততদিন তাঁদের সান্মানিক পুরসভা বহন করব বলে পুরসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে এক শিক্ষিকার সান্মানিক কয়েক দিন আগেই বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাকি ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মী জানুয়ারি মাস থেকেই বর্ধিত হারে সান্মানিক পাবেন। দিব্যেন্দুবাবুর সংযোজন, একই সঙ্গে পুরসভার ১২ জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও সহকারীদেরও ভাতা বৃদ্ধি করা হল।

Advertisement

শুক্রবার বিষ্ণুপুরের মিউজ়িক ফেস্টিভ্যালে ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নে আশ্বাস দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও বাঁকুড়ার সহকারী সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, শীঘ্রই ওই সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়টিকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীদের বেতন পরিকাঠামো নিয়েও শীঘ্রই আলোচনা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের কর্মী অতনু দাস বলেন, “আমরা যে ভাতা পাই, পুরসভার সাফাইকর্মীরা তার থেকে অনেক বেশি পান। নতুন পুর-প্রশাসক আমাদের কথা ভেবেছেন, আমরা তাতে খুশি। তবে প্রাচীন এই সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান সরকারি স্বীকৃতি পেলে, আমরা আরও খুশি হব।”

সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত কাল মিউজ়িক কলেজে পড়ে থাকা শুধু সঙ্গীতকে ভালবেসেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলে বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রসারে বাড়তি সুযোগ মিলবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অধিকাংশই আর্থিক দিক দিয়ে অসহায়। সরকারি উদ্যোগ ও পুরপ্রশাসনের সান্মানিক বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে নতুন বছরের বড় প্রাপ্তি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement