ঝুঁকি: পুজোর কেনাকাটা চলছে। ক্রেতা বা বিক্রেতা, মাস্ক নেই অধিকাংশের মুখে। কীর্ণাহারে। ছবি: কল্যাণ আচার্য।
রাজ্য করোনায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার মতো আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বীরভূমেও।
১১ তারিখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলা থেকে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ জন। তবে বিশেষ নজরে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় মহম্মদবাজার ব্লক। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে বলে খবর।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই আক্রান্তের খোঁজ মিলছিল। ৭ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত চার দিনে মোট ১৩ জন কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। শনিবারই এক সঙ্গে ৭ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। সপ্তাহ দুই আগেও যেখানে কদাচিত কোভিড আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল, সেখানে একদিনে সাত আক্রান্তের সব্ধান যখেষ্ট উদ্বেগ জনক মনে করা হচ্ছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘সত্যিই সংখ্যা বাড়ছে। তবে মহম্মদবাজারে আক্রান্তদের প্রত্যেকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সতর্ক রয়েছে। সাধারণ মানুষকেও সমান সতর্ক থাকতে হবে।’’ সিউড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রচুর সংখ্যায় জ্বরের রোগী আসছেন। সিউড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক শৈবাল মজুমদার বলছেন, ‘‘হাসপাতালে ও চেম্বারে এখন এমন রোগীর সংখ্যা যে ভীষণ ভাবে বেড়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।’’
এই পরিস্থিতির জন্য মানুষের বেপরোয়া মনোভাবকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘ভিড় এড়িয়ে যাওয়া বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, ৯০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছেন না। ভুলতে বসেছেন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা।’’ চিকিৎসকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সেই সময় অনেক আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের শয্যা ভর্তি থাকায় অনেকে ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা পরিষেবাটুকু পাননি। সেখানে যখন তৃতীয় ঢেউ আসবে বলে সতর্ক করা হচ্ছে, তখন এই ধরনের বেপরোয়া মনোভাব বিপদ ডেকে আনবে বলেই উদ্বেগ চিকিৎসকদের।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করাচ্ছেন, কোভিড প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থাকলেও কেউ সংক্রমিত হতেই পারেন। তাই কেউ কোভি়ড উপসর্গে ভুগতে শুরু করলেই কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা।