— প্রতীকী চিত্র।
গলায় জিন্সের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গাছ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে হাওড়ার লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম শুভঙ্কর সাহা (২৭)। বাড়ি পটুয়াপাড়ার সত্যসাধন ধর লেনে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার খাওয়াদাওয়া সেরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বন্ধুরা ডাকছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শুভঙ্কর। কিন্তু তার পরে সারা রাত তিনি বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকালে রেললাইনের ধারে একটি গাছ থেকে গলায় জিন্সের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শুভঙ্করের পরিবারের তরফে দাবি, তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও লিলুয়া থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পথচলতি মানুষজনই দেহটি প্রথম দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবকের গলায় তাঁরই জিন্সের ফাঁস লাগানো ছিল। দেহ উদ্ধার হতে তাঁর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই যুবকের দিদি রিয়া রুদ্র বললেন, ‘‘পাশের পাড়া জল কলোনির কিছু যুবক আমার ভাইকে গত বছর থেকেই খুনের হুমকি দিচ্ছিল। ওরাই আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ শুভঙ্করের মাসি নমিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে কিছু অবাঙালি ছেলে শুভঙ্করকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মনে হচ্ছে, ওরাই মেরে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক।’’ কিন্তু কেন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল, তার কারণ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি শুভঙ্করের পরিবার। এ দিকে, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে টাকাপয়সা দেওয়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শুভঙ্কর। পরদিন সকালে তাঁর দেহ মেলে। মানসিক অবসাদ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
শুভঙ্কর তাঁর মায়ের সঙ্গে পটুয়াপাড়ার বাড়িতে থাকতেন। তাঁর দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি চাকরি পেয়েছিলেন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।