প্রতীকী ছবি
বধূ খুনের অভিযোগে স্বামী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানার পুলিশ। বান্দোয়ান থানার কায়রা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল বধূটির স্বামী দিলীপ কুম্ভকার, শাশুড়ি তিতু কুম্ভকার, দেওর ভৈরব কুম্ভকার এবং জেঠা-শ্বশুর কাঞ্চন কুম্ভকার। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া আদালতে দিলীপ কুম্ভকারের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। বাকিদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে কায়রা গ্রামের অদূরে গাছের নীচ থেকে পিয়ালি কুম্ভকারের (২২) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বধূটির বাবা স্বপন পাল। তদন্তে নেমে বধূটির স্বামী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের পিয়ালির সঙ্গে ২০১৭ সালের মার্চে বিয়ে হয় কায়রা গ্রামের দিলীপের। ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পিয়ালির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময়ে দাবিমতো এক লক্ষ টাকা পণ দিতে হয়েছিল। তার পরে আরও টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপরে চাপ দেওয়া হত। না আনায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই পিয়ালি এক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে তাঁর পরিজনেরা দাবি করেছেন।
মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপনবাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। বান্দোয়ান থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য।