—প্রতীকী চিত্র।
শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার বধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ! বিয়ের ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও পণের টাকা না দিতে না পারায় বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের কাসিমবাজারের ঘটনা। এই ঘটনায় বধূর স্বামী বাপন ঘোষকে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীরভূমের সাঁইথিয়ার রুদ্রনগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা তনুশ্রী ঘোষের সঙ্গে ন’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বোলপুরের কাশিমবাজারের দুগ্ধ ব্যবসায়ী বাপনের। বিবাহের সময় যথেষ্ট দান সামগ্রী দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি বধূর বাপের বাড়ির। ওই দম্পতির দুই ছেলেও রয়েছে। এক জনের বয়স সাত ও আর এক জনের বয়স তিন বছর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বছরের পর বছর অত্যাচার করা হত তনুশ্রীকে। বুধবারই বাপের বা়ড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে ফিরেছিলেন বধূ। তার পর বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দোতলা ঘর থেকে কালো ধোঁয়ার সঙ্গে বধূর চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ছুটে এসে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করেন। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।
মৃতার বাবা রাজকুমার ঘোষের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। বিবাহের সময়েই সাধ্য মতো গয়না, টাকাপয়সা আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর পরেও ক্রমাগত টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে জীবন্ত অবস্থায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।’’ অন্য দিকে মৃতার শ্বশুর অজিত ঘোষের দাবি, ‘‘আমরা কিছুই জানি না। বাড়িতে কেউ না থাকা অবস্থায় বৌমা নিজেই আত্মহত্যা করেছে।’’