পুরুলিয়ার শিবডির বামুন চুড়পা। নিজস্ব চিত্র।
পুজো এখানেও হয় আর পাঁচ জায়গার মতোই। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন থেকে শুরু করে সপ্তমীতে নবপত্রিকা আনয়ন এবং অষ্টমীর পুজো, সন্ধি পুজো— সবই হয়। তবে পুরুলিয়া- ১ ব্লকের শিবডিতে নবমীর দিনে হয় ‘বামুন চুড়পা’ যা আর কোথাও হয় না।
নবমীর দিন ‘বামুন চুড়পা’ দেখতে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি গ্রামের মানুষ একত্রিত হন। গ্রামের বাসিন্দা তপনকুমার দুবে বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে ১,২০০ মতো মানুষ থাকেন। অথচ ৪টি পুজো হয় এখানে। যাকে এক ধরনের রেকর্ডই বলা চলে। বহু পুরনো পুজো। প্রায় ৪০০ বছর বয়স। নবমীর দিন ‘বামুন চুড়পা’ হয়।’’
কী হয় সেই অনুষ্ঠানে? তপন বলেন, ‘‘দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে গ্রামের মানুষ সং সেজে বিভিন্ন ধরনের অভিনয় করেন। কেউ মুখোশ পরে মহিষাসুর সাজেন, তো কেউ হনুমান। আবার মড়া সাজিয়ে খাটিয়ায় করে নিয়ে যাওয়া হয়, পিছনে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসেন সদ্য বিধবা। এ ভাবেই চলে অভিনয়।’’
বলি প্রথা নেই এখানে। তার বদলে চালকুমড়ো, আখ বলি হয়। থিমের ঘনঘটার ভরা বাজারে বামুন চুড়পার আকর্ষণে পুরুলিয়ার এই প্রান্তের প্রাচীন পুজোমণ্ডপগুলিতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।