উদ্ধারের পরে। নিজস্ব চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বাসের ছাদ থেকে পড়ে আহত হল এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার থানার চাঁদাই গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত রকি ধীবর বড়জোড়ার পখন্না উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। উদ্ধার করে তাকে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় পরে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাসের ছাদে যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ওই ছাত্রকে কেন সেখানে চড়তে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
পখন্নার ধীবরপাড়ার বাসিন্দা রকির পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।এ দিন তার পুষ্টি বিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসের ছাদ থেকে সে আম পাড়তে গিয়ে বেসামাল হয়ে নীচে পড়ে যায়। রকির সঙ্গে বাসে ছিল তার দুই বন্ধু সোমনাথ গোপ ও অমিত গরাঁই। তারা বলে, ‘‘পরীক্ষা দেওয়ার পরে বাসের ছাদে চেপে ফিরছিল রকি। চাঁদাই গ্রামের কাছে বাসের ছাদ থেকে আম পাড়তে গেলে ডালে লেগে পড়ে যায় সে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে।’’
কিন্তু বাসের ছাদে কী ভাবে যাত্রী তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির যুব মোর্চার বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, ‘‘এত নজরদারি সত্ত্বেও এক জন ছাত্র বাসের ছাদে যাতায়াত করে কীভাবে?’’ ঘটনার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) এবং পুলিশকে আরও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।’’ তিনি হাসপাতালেলে ফোন করে ছাত্রটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
বাঁকুড়ার আরটিও সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছাদে যাত্রী তোলা বন্ধ করতে সব বাসের সিঁড়ি কেটে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবেয় পুলিশ-প্রশাসনকেও নজরদারি করতে বলা হবে।’’ ওই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বাঁকুড়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘বাসের সিঁড়ি নেই। আবার লকডাউনের পরে যাত্রী সংখ্যা যে ভাবে কমেছে, তাতে বাসের ছাদে ওঠার প্রয়োজনও নেই। কিন্তু অনেক সময় বাস কর্মীদের বারণ অগ্রাহ্য করে কিছু যাত্রী ও কমবয়সিরা দল বেঁধে বাসের ছাদে ওঠেন। অনেক সময় নজর এড়িয়েও কেউ ছাদে ওঠেন।’’