সমবায়ের পণ্যের ‘হোম ডেলিভারি’ চালু

বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করবে পরপর দু’বার ‘সমবায়শ্রী’ পুরস্কার পাওয়া বাঁকুড়া সমবায় বিপণি কেন্দ্র।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২১
Share:

দেখেশুনে কেনা। নিজস্ব চিত্র

বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করবে পরপর দু’বার ‘সমবায়শ্রী’ পুরস্কার পাওয়া বাঁকুড়া সমবায় বিপণি কেন্দ্র। কেন্দ্রে যে পণ্য বিক্রি হয়, এ বার সেগুলি মিলবে বাড়িতে বসেই। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য জানুয়ারি থেকেই ‘হোম ডেলিভারি’ চালু করতে চলেছে বাঁকুড়া সমবায় বিপণি কেন্দ্র।

Advertisement

বাঁকুড়া শহরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শপিংমল গড়ে উঠছে। কয়েকটি সংস্থা অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ‘হোম ডেলিভারি’ ব্যবস্থা চালু করেছে। ফলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাজার দখলের সেই প্রতিযোগিতায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ বাঁকুড়া সমবায় বিপণি কেন্দ্র। সংস্থার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে হবে। হোম ডেলিভারি চালু করার এটাও অন্যতম কারণ”। সঙ্গে সংযোজন, “জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই হোম ডেলিভারি চালু করব। তার প্রস্তুতি চলছে।”

বিশ্বনাথবাবু জানান, প্রথম দিকে ফোনে অর্ডার নেওয়া হবে। পরে একটি অ্যাপও চালু হবে। গ্রাহকেরা নগদে, কার্ডের মাধ্যমে কিংবা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে বিল মেটাতে পারবেন। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে আড়াই হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ লাগবে পাঁচ শতাংশ। তার বেশি মূল্যের জিনিসপত্র কিনলে সার্ভিস চার্জ লাগবে না।

Advertisement

বাঁকুড়া সমবায়ের ব্যবসা ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে ২১ কোটি ও ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে ২২ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। কর্তাদের আশা, গত দু’বছরের ব্যবসার পরিমাণ ছাপিয়ে যাবে এ বছর। ভাল ব্যবসার জন্য ২০১৭-’১৮ ও ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যের তরফে ‘সমবায়শ্রী’ পুরস্কারও পেয়েছে এই বিপণি কেন্দ্র।

চাল, ডাল থেকে শুরু করে নানা খাদ্যসামগ্রী, প্রসাধনী, ওষুধ কমদারে মেলে বিপণি কেন্দ্রে। এমনকি, জামাকাপড়ও বাজারদরের তুলনায় বেশ খানিকটা কম দরে পাওয়া যায় বলে দাবি সংস্থার। শহরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ মাসের জিনিসপত্র সেখান থেকে কেনেন।

সংস্থার কর্তাদের দাবি, কেবল বাঁকুড়া শহরই নয়, খাতড়া, সিমলাপাল, রাইপুর, ওন্দা, তালড্যাংরার মতো বিভিন্ন এলাকা থেকেও ক্রেতারা বাঁকুড়া সমবায় বিপণি কেন্দ্রে এসে কেনাকাটা করেন। তবে বিপণি কেন্দ্রের কয়েকটি সমস্যাও রয়েছে। যেমন, কেন্দ্রের জায়গা কম। বিল বানাতে দেরি হয়। মাঝেমধ্যেই ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। মাসের প্রথম সপ্তাহে বিপণি কেন্দ্রে ভিড় উপছে পড়ে। এই অবস্থায় ‘হোম ডেলভারি’ চালু হলে বহু ক্রেতাই খুশি হবে মনে করছেন সংস্থার কর্তারা।

বাঁকুড়ার বধূ রাখি মণ্ডল, শতাব্দী চক্রবর্তী বলেন, “সমবায় বিপণিতে আমরা নিয়মিত যাই। তবে সেখানে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। বিল বানাতে সময় লাগে অনেক। তাই সব সময় সেখানে যাই না। হোম ডেলিভারি চালু হলে সত্যিই অনেক সুবিধা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement