—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রুই-কাতলা যেই কে সেই পড়ে আছে। বড় বড় ফ্রিজ়ে থাকা ইলিশ, ভেটকি এবং পমফ্রেট সাফ করে দিয়ে চম্পট দিল চোরের দল। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়া শহরের চকবাজার এলাকার একটি মাছের আড়তের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, শুধু মাছের আড়তই নয়, বাজারে ডিম এবং মশলার দোকান মিলিয়ে পর পর বেশ কয়েকটি দোকান সাফ হয়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ দোকানের ক্যাশবাক্সও ‘হাওয়া’ হয়ে গিয়েছে। চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলার অদূরে রয়েছে শহরের পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসার জন্য পরিচিত চকবাজার এলাকা। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ফাঁড়ি। বৃহস্পতিবার ওই বাজারেই একের পর এক দোকানে চুরির অভিযোগে শোরগোল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাইকারি বাজারে একটি মাছের আড়তের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে ফ্রিজ় খুলে মজুত থাকা ইলিশ, পমফ্রেট এবং ভেটকি মাছ নিয়ে পালিয়েছে চোরের দল। ক্যাশবাক্স হাতড়ে তারা নিয়ে যায় নগদ টাকাও। আড়তের মালিক মনসা ধীবর বলেন, ‘‘ফ্রিজ়ে ইলিশ, পমফ্রেট এবং ভেটকি মিলিয়ে প্রায় ৩০ কেজি মাছ মজুত ছিল। দোকানে রাখা ছিল রুই এবং কাতলা। চোরের দল রুই-কাতলা নেয়নি। কিন্তু একটিও ইলিশ, পমফ্রেট বা ভেটকি মাছ রেখে যায়নি তারা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ধারণা দাম বেশি হওয়ার কারণে ওই মাছগুলিই নিয়েছে চোর।’’
মাছের আড়তের পর চোরের দল একটি ডিমের দোকান ও মশলার দোকানে হানা দিয়ে ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু, বাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও থেকে এমন চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত চকবাজারের ব্যবসায়ীরা। জয়দেব ধীবর নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘বাজারের পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি। সন্ধ্যায় এক বার সিভিক ভলান্টিয়াররা বাজারে ঘুরলেও রাতভর আর তাঁদের দেখা মেলে না। এই অবস্থায় বারংবার চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ভাবে ব্যবসা করা তো কঠিন হয়ে পড়ছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির তদন্ত শুরু করেছে তারা।