হিডকো ওই জমিতে কাজ চালিয়ে যাবে বলেছে।
বোলপুরে শিবপুর মৌজায় শিল্পের জন্য অধিগৃহীত কৃষি জমিতে নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউটাউনে হিডকো অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শিবপুর জমিহারা কৃষক সংগ্রাম কমিটির সদস্যেরা। পরে তাঁদের তরফে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল হিডকো কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবিদাওয়া পেশ করেন। এ দিন জমিহারাদের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। জমিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের তরফে প্রতিনিধি দল তাদের স্মারকলিপিতে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবরে কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশ দেখিয়ে নিজেদের দাবি পেশ করে। যদিও হিডকো সূত্রের খবর, হাইকোর্টের অর্ডার নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ হিডকো কর্তৃপক্ষ। সংস্থার আধিকারিকদের একাংশের কথায়, আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলবে, তবে আদালতের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই বিক্রি করা হবে না।
বামফ্রন্টের আমলে শিবপুর মৌজা এলাকায় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। জমিদাতা কৃষকদের অভিযোগ, সেই জমিতে আজ পর্যন্ত কোনও শিল্প হয়নি। বরং বর্তমান সরকার সেখানে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ও গীতবিতান নামে আবাসনপ্রকল্প তৈরি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও টাউনশিপের কাজ কেমন চলছে, তা মঙ্গলবার শিবপুরে এসে দেখেও গিয়েছেন হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।
যদিও শিবপুরের কৃষকদের দাবি, শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে শিল্পই করা হোক। তা না করতে পারলে তাঁদের জমি ফিরিয়ে দিক সরকার। ঘটনা হল, জমিহারা কৃষক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে নিজেদের দাবি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন শিবপুরের কৃষকেরা। বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বহুবার। তবে, সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। জমিদাতাদের তরফে জুলফিকার আলি এ দিন বলেন, ‘‘হিডকো ওই জমিতে কাজ চালিয়ে যাবে বলেছে। কিন্তু, হাইকোর্টের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তারা জমি বণ্টন করবে না বলে জানিয়েছে।’’ স্থানীয় গ্রামের লোকজনকে কাজে নেওয়ার দাবিও হিডকো কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে বলে জুলফিকার জানান।