প্রবল গরমেও কুয়াশায় ঢাকল বিষ্ণুপুরের মন্দির! — নিজস্ব চিত্র।
প্রবল গরমে হাঁসফাঁস। নাজেহাল অবস্থা বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। কিন্তু তার মাঝেই বৃহস্পতিবারের সকালে বাঁকুড়ার মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর ঢাকল ঘন কুয়াশায়! প্রবল গরমে প্রকৃতির এ হেন খামখেয়ালিপনায় অবাক বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ। যদিও এই ঘটনাকে একে বারেই অস্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।
বাঁকুড়া জেলায় গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। সঙ্গে দোসর বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। আর এই দু’য়ের জেরে কার্যত হাঁসফাঁস বাঁকুড়া জেলার মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর শহরের যে মানুষরা রাস্তায় বেরিয়েছেন তাঁরা প্রবল এই ভ্যাপসা গরমেও ‘দৃশ্যত’ শীতের স্বাদ পেয়েছেন। এ দিন সকালে মন্দিরনগরীর পথঘাট ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সকালে বিষ্ণুপুরের রাস্তাঘাটে যানবাহনের গতিও শ্লথ হয়ে পড়ে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে বিষ্ণুপুরের প্রাচীন মন্দিরগুলিও।
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক সুব্রত পান অবশ্য এই ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘বাতাসে এখন যথেষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে। হঠাৎ করে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। চলতি মরসুমে এর আগেও বাঁকুড়ার নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় এ ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে। তবে এই ধরনের কুয়াশা সাধারণত খুব ছোট এলাকায় তৈরি হয়।’’