ঢিলে ভাঙল প্রধান শিক্ষিকার বাড়ির জানলার কাচ।নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে কারা যেন ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙল ঝালদা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বাড়ির। কেন আচমকা তাঁর বাড়ি আক্রমণ হল, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না টানা ২৯ বছর ঝালদা গার্লস স্কুলে শিক্ষকতার দায়িত্বে থাকা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষ।
শহরের জালান বাড়ি শুক্লাদেবীর। তাঁর স্বামী, এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা বিজনবাবুর কথায়, ‘‘বুধবার রাত তখন পৌনে দশটা হবে। সবে খেতে বসেছি। এমন সময় বাইরে প্রচণ্ড জোরে শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি গোটা বারান্দায় ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা কাচের টুকরো। জানলার কাচে কেউ বা কারা বড় পাথর ছুড়েছে। ভিতরে কাচের টুকরোর সঙ্গে ইট ও পাথরও পড়ে রয়েছে।’’ মদের ভাঙা বোতলও পড়েছিল বারান্দায়। বাইরে বেরিয়ে কাউকে দেখতে পাননি তিনি। তবে গেটের বাইরে একটি চিরকুট আটকানো ছিল। তাতে লেখা, ‘ছাত্র থেকে সাবধান’।
শুক্লাদেবী বলেন, ‘‘সেই ১৯৮৭ সাল থেকে এই পুরশহরে আছি। কখনও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। আমার স্কুলে তিনটি স্কুলের ছেলেদের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে। আমরা কড়া নজরদারির মধ্যেই পরীক্ষা নিই। এই সুনাম ঝালদা গার্লস স্কুলের বরাবর রয়েছে।’’ সে জন্যই কি বাড়িতে হামলা হল? বুঝতে পারছেন না শুক্লাদেবী। তিনি জানান, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারাই তদন্ত করে দেখুক। ঝালদার তৃণমূল নেতা, পেশায় শিক্ষক সোমনাথ কর্মকার বলেন, ‘‘এক জন শিক্ষিকার বাড়িতে এ ভাবে আক্রমনের ঘটনা মানা যায় না। স্কুল সংক্রান্ত কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তো পরিচালন কমিটি রয়েছে। এই ঘটনা নিন্দনীয়। এই ঘটনার পিছনে যে বা যারাই থাকুক, পুলিশের উচিত খুঁজে বের করা।’’
মোটরবাইক চুরি। মোটরবাইক চুরির অভিযোগ উঠল ঝালদায়। সম্প্রতি স্টেশন রোড এলাকার ঘটনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী গঙ্গাধর কুইরির দাবি, ওই দিন তিনি দোকানের বাইরে মোটরবাইক রেখে বিকিকিনি করছিলেন। দুপুর ২টো নাগাদ বেরিয়ে দেখেন, মোটরবাইক নেই। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।