কীর্ণাহারে ঠাসা ভিড় বাসে। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের ডাকে বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো এবং পথসভায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেই লোকজন গিয়েছেন। সে কারণে অনেক বাসও না থাকায় ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের।
সকাল ১০টা নাগাদ দেখা যায় রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে কম করে দশটি মোটরচালিত ভ্যান। চালকরা দুনিগ্রাম, চাঁদপাড়া, হাঁসন এলাকার যাত্রীদের জন্য হাঁক ছাড়ছেন। রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুরে রোড শো এবং পথসভা ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের জন্য রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডের ১৬০টি বাসের মধ্যে ১৪০টি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রামপুরহাটের বগটুই মোড় দেখা যায় সাঁইথিয়া, সিউড়ি, তারাপীঠ, ময়ূরেশ্বর, বুধিগ্রাম রুটের বাস ধরার জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। মল্লারপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীর কথায়, ‘‘এক ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে থেকেও বাস মেলেনি।’’ বেসরকারি বাসের অভাবে শুধু রামপুরহাট নয়, রাজগ্রাম থেকে রাজনগর সর্বত্র যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
মুরারই রঘুনাথগঞ্জ রুটে বাসের অভাবে ট্রেনযাত্রীদের চরম অসুবিধার মধ্যে যাতায়াত করতে হয়েছে। মুরারই থানার পাইকর থানার বাসন্তী মাল জানান, রামপুরহাট মেডিক্যালে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাস না পাওয়ার জন্য ট্রেকার এবং অটোতে চেপে বাড়তি পয়সা খরচ করে হাসপাতালে আসতে হয়। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে অন্যদিনের তুলনায় হাতে গোনা কয়েকটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। বাস না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বক্রেশ্বর, রাজনগর, পানুড়িয়া সহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের।
বাস না মেলায় কীর্ণাহার, নানুর, লাভপুর এলাকাতেও ভোগান্তির চিত্র ধরা পড়েছে। কীর্ণাহার আসানসোল ভায়া বোলপুর রুটের বেসরকারি বাসগুলিকে এ দিন বোলপুর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঘুরপথে সিউড়ি হয়ে ওই সমস্ত বাসগুলিকে চলাচল করতে হয়েছে। বাসের অভাবে গাদাগাদি করে ম্যাটাডোর, যন্ত্র চালিত ভ্যানে যাত্রীদের জাতীয় সড়কের উপর চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। ট্রেকারের ছাদেও যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়েছে।