Gangajalghati

প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ ঘিরে রহস্য

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি অসিতবরণ সেন (৫২) বড়জোড়ার উপরশোল এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গঙ্গাজলঘাটি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রহস্যজনক ভাবে গ্রিলে ঘেরা অন্যের বাড়ির বারান্দা থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুডার গঙ্গাজলঘাটির দুবেরডাঙা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি অসিতবরণ সেন (৫২) বড়জোড়ার উপরশোল এলাকার বাসিন্দা। দুবেরডাঙার বাসিন্দা অলক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির বারান্দায় অসিতবরণের ঝুলন্ত দেহ মেলে।

Advertisement

এই ঘটনায় মৃতের ভাই সঞ্জয় সেন সোমবার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অলকবাবু-সহ তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে তাঁর দাদাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন অলকবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে পলাতক।

সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অলকবাবু অসিতবরণবাবুর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি মেলেনি। দীর্ঘ দিন ধরে টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না অলকবাবু। এ দিকে, অসিতবরণবাবুর ভাগ্নির বিয়ে ঠিক হওয়ায় টাকার দরকার পড়েছিল। শনিবার সকালে তাঁর দাদা অলকবাবুর বাড়ি যান টাকা চাইতে। তাঁর অভিযোগ, টাকা না দিয়ে উল্টে অলকবাবু, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলে অসিতবরণবাবুকে অপমান করেন। অপমানিত হয়েই অসিতবরণবাবু আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন সঞ্জয়বাবু।

Advertisement

তিনি বলেন, “আমরা খুব গরিব। দাদা সামান্য জমিতে চাষবাস করে সংসার চালাত। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অলকবাবু অনেক টাকা নিয়েছেন। কিন্তু দাদাকে চাকরি দেননি। এখন ভাগ্নির বিয়ের জন্য টাকা চাই। দাদা তাই ওঁর বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইতে যান। সেখানে তাঁকে অপমান করা হয়। দাদা আর বাড়ি ফেরেননি। রবিবার অলকবাবুর বাড়িতে দাদার দেহ মেলে।’’

কী ভাবে অলকবাবুর বাড়িতে আত্মহত্যা করলেন অসিতবরণবাবু, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অলকবাবুর বাড়ির বারান্দা গ্রিল দিয়ে ঘেরা। রাতে সেখানে স্বভাবতই চাবি লাগানো থাকে।

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অসিতবাবু অলকবাবুর বাড়িতেই রাতে ছিলেন? তদন্তকারীরা এর উত্তর খুঁজছেন।

সঞ্জয়বাবুর দাবি, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দাদার সঙ্গে শেষ বার গ্রামের এক জনের কথা হয়েছিল। দাদা তাকে রাত ১০টায় ফোন করতে বলেন। কিন্তু ১০টায় যখন ফোন করা হয়, ততক্ষণে দাদার ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দাদা রাতে ফেরেননি। কোথায় ছিলেন, তা আমাদের জানা নেই।”

পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অলকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন ধৃতের পড়শিরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement