গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে এক যুগল। মৃত যুগলের নাম মিলন বাগদি (১৯) এবং সঙ্গীতা বাগদি (১৬)। দু’জনের বাড়িই লাভপুরের হাতিয়া গ্রামের বাগদি পাড়ায়। এ দিন বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি পুকুর পাড়ে একটি আমগাছে একই দড়িতে দু’জনের মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিয়েতে বাধার আশঙ্কায় তাঁরা আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় রাজমিস্ত্রী মিলনের সঙ্গে বছর খানেক ধরে ঘনিষ্ঠতা ছিল স্থানীয় হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সঙ্গীতার। শনিবার রাত্রি ১০ টা নাগাদ পরিবারের সকলে খাওয়া-দাওয়া সেরে শুয়ে পড়ার পর দু’জনে সবার অজান্তে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান। এ দিন সকালে গ্রামবাসীরা তাঁদের ঝুলতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। একই পাড়ায় ২০০ মিটার দূরত্বে দু’জনের বাড়ি। দুই পরিবারেরই মূলত দিনমজুরী করেই সংসার চলে। দুই ভাইয়ের ছোট মিলন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পরে বর্তমানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না বাবা কালীচরণ বাগদি এবং মা তপতীদেবী। একই অবস্থা সঙ্গীতার বাবা ধনঞ্জয় বাগদি এবং মা হাঁসুদেবীরও। মিলনের দাদা জিতেন এবং সঙ্গীতার কাকা বাবু বাগদি বলেন, ‘‘দু’জনের ঘনিষ্ঠতার কথা শুনেছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে কোনওদিন কোনও অশান্তিও হয়নি। তবুও তারা কেন যে এই পথ বেছে নিল কে জানে!’’
অন্য দিকে ময়না তদন্তের পরে গ্রাম লাগোয়া শ্মশানে একই চিতায় দু’জনের মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন গ্রামবাসীরা। অভিজিৎ মণ্ডল, সনৎ মণ্ডল, ধীরেন বাগদিরা জানান, একই দড়িতে ওরা মুখোমুখি আত্মহত্যা করেছে। তাই দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে ময়নাতদন্তের পরে একই চিতায় সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।