কংসাবতীর সেচখালে হাতিদের হুটোপুটি। বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বাসুদেবপুর বিটের বাগডোবা গ্রামের কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। ছবি: শুভ্র মিত্র ।
পুজোর মাসখানেক আগেই বাঁকুড়া জেলায় ঢুকেছে হাতিদের বড় একটি দল। এ বার পুজো মিটতেই বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে ঢুকল আরও ২৪-২৫টি হাতি। সেই দলে একটি সদ্যোজাত থাকায় তটস্থ বনকর্মীরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, বিজয়া দশমীর দিনে বাঁকুড়া জেলার সীমানায় গড়বেতা রেঞ্জের ধাদিকা বিটের ভাটমারা জঙ্গলে জন্ম নেয় একটি হস্তিশাবক। সে জন্য বনকর্মীরা তার নাম রেখেছে ‘বিজয়া’। তাকে নিয়ে ওই দলে মোট তিনটি হস্তিশাবক রয়েছে।
ডিএফও (বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত) অঞ্জন গুহ বলেন, ‘‘সদ্যোজাত হাতিটিকে অন্য হাতিরা ঘিরে থাকায় আপাতত আমরা হাতিদের জোর করে সরানোর চেষ্টা করছি না। গ্রামবাসীর ফসল যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং হাতিরা যাতে সুস্থ-স্বাভাবিক থাকে, সেদিকেই নজর রাখছি।’’ তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জেলায় আসা একটি হাতির পাল বড়জোড়ায় রয়েছে।সেখানে বর্তমানে রয়েছে ৪৪-৪৫টি হাতি। এ ছাড়া বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগে একটি দলছুট রয়েছে। এ দিন ২৪-২৫টি হাতি ঢুকেছে। তার মধ্যেও একটি দলছুট হাতি রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় এখন ৭০-৭২টি হাতি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বন বিভাগের আস্থাশোলের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সদ্যোজাতকে নিয়ে দলটি এগিয়ে এসে বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বাসুদেবপুর বিটের গরুড়বাসার জঙ্গলে আস্তানা নেয়। হাতির দলটির উপরে নজরে রাখছে বন দফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের ১৫ জন। রয়েছেন বনকর্মীরাও। সহযোগিতা করছেন আমডহরা, হাতগাড়া, বাসুদেবপুর, বগডহরা, আস্থাশোল গ্রামের মানুষজন। অতি উৎসাহীরা যাতে এই সময়ে জঙ্গলে না যান, সে জন্য বনকর্মীরা বারণ করছেন।
বনকর্মীরা জানান, বাঁকুড়া জেলায় ঢোকার পরে এ দিন পর্যন্ত জঙ্গল পথেই এসেছে হাতির দলটি। তবে তাদের পায়ের চাপে বাগডোবা গ্রামে কাছে কিছু ধানজমির ক্ষতি হয়েছে।বাগডোবা গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ সরেন, প্রভাত সরেন বলেন, ‘‘হাতির দলের আনাগোনা লেগেই থাকে। ওরা বাচ্চাটাকে নিয়ে জঙ্গলপথেই যেন ফিরে যায়। আর না আমাদের ধানের ক্ষতি করে।’’