আপাতত ছুটি নেই পুরুলিয়ায়

নিম্নচাপের লাগাতার বর্ষণ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আপাতত সরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। বর্ষা পরবর্তী বিপর্যয় নিয়ে সোমবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৯
Share:

নিম্নচাপের লাগাতার বর্ষণ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আপাতত সরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। বর্ষা পরবর্তী বিপর্যয় নিয়ে সোমবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এ দিন তিনি জেলার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক করেন। বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলার বিভিন্ন বিধায়ক, জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ছিলেন বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরাও।

Advertisement

পর্যালোচনা বৈঠক শেষে পূর্ণেন্দুবাবু জানান, যদিও এই জেলায় কোনও ত্রাণ শিবির নেই। তবু পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি কর্মীরা কোনও ছুটি নেবেন না। পূর্ত, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, সেচ, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা যেমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছেন, সে ভাবেই কর্মীরা এখানেও কাজ করবেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্ষণের জেরে অনেক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। সূর্য ওঠার পরে অনেক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও বা আংশিক ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আরও কুড়ি হাজার ত্রিপল আসছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতেগুলিতে ভাগ করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এই ত্রিপলগুলি বিতরণ করা হবে।’’ নাগাড়ে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে মেনে পূর্ণেন্দুবাবু জানান, রাস্তা ও সেতু দ্রুত মেরামতির বিষয়টি নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তবে পুরুলিয়ার জন্য এই বর্ষণ আশীর্বাদ বলেই মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থান এমনই যে, বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির জল বেরিয়ে যায়। এখানে দেখলাম খেত জলে ভরে রয়েছে। জল ধরে রেখে চাষের কাজ হচ্ছে। ধান রোঁয়া চলছে।’’ এই বৃষ্টির ফলে জেলায় ভাল ধান হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। বৈঠক শেষে জেলা সভাধিপতি বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় ছ’লক্ষের মতো বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে চার লক্ষ কাঁচা বাড়ি। আমাদের কাছে যা খবর, তাতে ৪০ হাজার কাঁচা বাড়ি হয় বসে গিয়েছে, নয়তো পড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের অনেক রাস্তা ক্ষতি হয়েছে। পূর্ত দফতরের বেশ কিছু রাস্তা ভেঙেছে।১২টি কালভার্ট পুরো ভেঙে গিয়েছে। আমরা গোটা পরিস্থিতি কৃষিমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’’ জেলাশাসক জানান, বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে, নেহাত প্রয়োজন না পড়লে সদর না ছাড়তে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement