দু’জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে (ম্যাক অ্যালাইজা টেস্ট-এ পজেটিভ) ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। সে খবর পেতেই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার রামপুরহাট থানার মাসড়া গ্রামে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় নির্মাণের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন বিডিও (রামপুরহাট ১) নীতিশ বালা। ডেঙ্গি-পজেটিভ এই খবর পাওয়া মাত্র বিডিও তা জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রামানুজ সিংহকে। সোমবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে পাঠিয়ে দেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বও গ্রামে ব্লিচিং ছড়ানো থেকে ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য পঞ্চায়েতকে পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থানার মাসড়া গ্রামের দু’জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজন মাসখানেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। কিছু দিন আগে মল্লারপুরে ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। পরে ফের রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই ম্যাক এ্যালাইজা টেস্টে-এ পজেটিভ ধরা পরে। আরও একজনের রক্তেও একই জীবাণু মিসেছে। মাসড়া গ্রামের দু’জনকেই রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। নয়ন শেখ নামে একজন বর্তমানে বাড়ি ফিরেছেন। অন্য জন সমীর ভাণ্ডারি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিএমওএইচ রামানুজ সিংহ জানান, বিডিও-র কাছ থেকে খবর পেয়ে মাসড়া গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সার্ভের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে ডেঙ্গি-রোধে সমস্ত রকম সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন। মাসড়া গ্রামের বাসিন্দা, তৃণমূলের মাসড়া অঞ্চলের সভাপতি রেজাউল করিম জানান, গ্রামে ব্লিচিং ছড়ানোর এবং ঝোপ-জঙ্গল পরিস্কারের জন্য পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছি।