পর্যটকদের কাছে শান্তিনিকেতন মানেই সোনাঝুরি হাট। —নিজস্ব চিত্র।
পর্যটকদের কাছে শান্তিনিকেতন মানেই সোনাঝুরি হাট। এ বার সেই হাট সপ্তাহে চার দিনের বদলে ছ’দিন খোলা থাকবে। এই হাটটি হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত। এখানে স্থানীয় শিল্পীরা তাঁদের হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যেমন পটচিত্র, মাটির পাত্র, কাঠের কাজ, বাটিক প্রিন্টের পোশাক-সহ বহু জিনিস বিক্রি করেন।
হাটটি স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। শুধু মাত্র কেনাকাটার জন্য নয়, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি ও শিল্পের প্রদর্শনীর জন্যও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই হাট। এমন কেউ নেই যিনি শান্তিনিকেতনে বেড়াতে এসে সোনাঝুরি হাটে এক বারও যাননি। কাজেই সপ্তাহে ছ’দিন সোনাঝুরি হাট খোলা থাকলে পর্যটকদের পাশাপাশি উপকৃত হবেন সেখানকার হস্তশিল্পী এবং ব্যবসায়ীরাও।
বিগত কয়েক মাস ধরে সোনাঝুরি হাট সপ্তাহে চার দিন অর্থাৎ শনি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত খোলা থাকত। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় এগিয়ে আসায় এবং ক্রমবর্ধমান ক্রেতাদের চাহিদার কারণে হাটের দিন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে, সোনাঝুরি হাট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কাছে হাটের দিন বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। তাঁদের এই আবেদন মঞ্জুর হওয়ায়, এখন এই হাটটি সপ্তাহে ছ’দিন খোলা থাকবে। শুধুমাত্র বুধবার বন্ধ থাকবে।
এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে অনেক শিল্পী যাঁরা তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য হাটের উপর নির্ভর করেন, তাঁরা উপকৃত হবেন। পুজোর আগে অতিরিক্ত দিনগুলিতে বিক্রির সম্ভাবনা বাড়বে, যা শিল্পীদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সাহায্য করবে। অতিরিক্ত দিনের ব্যবসায়ীক কার্যকলাপ বাড়াতে এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, হাট বন্ধের দিনে, অর্থাৎ বুধবার হাট ও আশপাশের এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত ও পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সোনাঝুরি হাট আরও বেশি পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব হাট হিসাবে গড়ে উঠবে।