প্রতীকী ছবি
অনুষ্ঠান দেখানোর নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে ধরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে বাঁকুড়ার ছাতনার একটি প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া নির্মীয়মাণ একটি ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় ১৬ বছরের ওই তরুণী। তাঁর বাবা সাত জনের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ জানান থানায়। মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সনৎ সোরেন, ভুপেন সোরেন, ছটুলাল সোরেন ও বিজয় সোরেন ছাতনার তুলসা গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার বাঁকুড়া আদালতের বিচারক তাদের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ‘পকসো’ আইনে মামলা হয়েছে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে ইতিমধ্যেই ধরা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণী পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তুলসা গ্রামে তাদের পরিচিত এক যুবক ফোন করে ডাকায় সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই তরুণী। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই দিন তুলসা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেই মেয়েটিকে ডাকা হয়। তরুণী তুলসায় পৌঁছলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া ঘরে। অভিযোগ, সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করে, অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে বাড়ির ঠিকানা, অভিভাবকের মোবাইল নম্বর এবং ঘটনার কথা পুলিশকে খুলে বলে নির্যাতিতা। এর পরে তার বাড়িতে খবর পাঠায় পুলিশ। রাতে তার বাবা সাত জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ছাতনা থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়া সদর থানা এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক বধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়া মহিলা পুলিশ থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের দাবি, “ধর্ষণের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”