প্রতীকী ছবি।
ডিসেম্বরের ৩ তারিখ পেরিয়েছে। এখনও পেনশন পাননি বিশ্বভারতীর বহু পেনশনগ্রাহক। পেনশন না হওয়ার পিছনে টাকা না-আসাকে দায়ী করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন সাধারণ প্রতি মাসের শেষ তারিখে হয়ে থাকে। নভেম্বরের শেষ তারিখে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন হলেও পেনশন হয়নি। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন বিশ্বভারতীর ১৮০০-রও বেশি অবসরপ্রাপ্ত। যাঁদের মধ্যে পেনশনার রয়েছেন প্রায় ১২০০ জন ও ফ্যামিলি পেনশনার রয়েছে প্রায় ৬০০।
পেনশনগ্রাহকদের অভিযোগ, এই টাকার উপরেই সারা মাসের ওষুধপত্র থেকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, সংসারের খরচ চলে। কিন্তু, এ বার মাস শেষ হয়ে যাওয়ার চার দিন পেরিয়ে গেলেও পেনশন না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা সকলেই। বেশি সমস্যায় ফ্যামিলি পেনশনারেরা। তবে, পেনশন দেরিতে হওয়া এই প্রথম নয় বিশ্বভারতীতে। ২০২০ ও ২০২১ সালেও এই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছিল অবসরপ্রাপ্তদের। সেই সময় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ করোনা পরিস্থিতির কারণে পেনশন আটকে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল।
বিশ্বভারতীর পেনশনগ্রাহক নীহার ঘোষ, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, বেলা সরকারেরা বলেন, “পেনশন আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের বোঝা দরকার, পেনশন আটকে গেলে কতটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে, তার উপর যদি এ ভাবে সময়ে পেনশন না হয়, তাহলে আরও সমস্যা। আমাদের জানা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পেনশনারদের পেনশন হয়ে গিয়েছে। অথচ এখানে কেন হল না, তার সদুত্তর দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।’’
বিশ্বভারতীর পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সত্য ভট্টাচার্য বলেন, “এই সমস্যা নিয়ে বহু পেনশনার আমাদের ফোন করছেন, আমরাও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ফান্ড আসেনি বলে আমাদের জানিয়েছেন।” পেনশন নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষেরপ্রতিক্রিয়া মেলেনি।