ঝালদা পুরনো থানায় আগুন। —নিজস্ব চিত্র।
ঝালদা পুরনো থানায় আচমকা অগ্নিকাণ্ড! সোমবার বেলার দিকে ওই থানা চত্বরে আগুন লাগে। সেখানে সার দিয়ে রাখা, পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা একের পর এক মোটরসাইকেল। সেই মোটরসাইকেলগুলি আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে থানার একাংশ পুড়ে গিয়েছে।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঝালদা পুরনো থানার। কারণ থানার একটি ঘরে সংরক্ষিত রয়েছে গোটা শহরের সিসিটিভি ফুটেজ। সম্প্রতি ওই থানাতে সংরক্ষিত সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে যায় সিবিআই। যদিও জানা গিয়েছে, ঝালদা শহরের বেশির ভাগ সিসিটিভি খারাপ।
পুলিশের দাবি, সোমবার অন্নপূর্ণা দেবীর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলছিল ঝালদা শহরে। পুলিশের দাবি, সেই সময় ওই শোভাযাত্রা থেকে ঝালদা পুরনো থানার দিকে পটকা ছুড়ে মারা হয়। আর সেই পটকা থেকে ঝালদা পুরনো থানা চত্বরে বাজেয়াপ্ত করা মোটর সাইকেলেগুলিতে আগুন ধরে যায়। যদিও মিনিট দশেকের মধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে পুলিশের দাবি। থানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রশ্নও।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান বলেন, ‘‘ঝালদা পুরনো থানায় আগুন কী ভাবে লেগেছে সেটা দমকলের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে। বিষয়টি দেখছি।’’
এ নিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি তো কলকাতায় আছি। আগুন লাগার কথা শুনলাম। থানায় থাকা বাইকগুলি শুনলাম পুড়ে গিয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’