—নিজস্ব চিত্র।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দুয়ারে সরকারের শিবির চলাকালীন স্থানীয় বিধায়কের পা ধরে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হরি মণ্ডল। তার পর প্রায় চার মাস কেটে গেলেও এখনও বাড়ি পাকা বাড়ি পায়নি ওই পরিবার, এমনই অভিযোগ করলেন হরির স্ত্রী ঝুমা মণ্ডল। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি।
হরি পেশায় দিনমজুর। দুয়ারে সরকার শিবিরে বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর পা ধরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমরা ত্রিপল টাঙিয়ে ঝুপড়িতে থাকি। অনেকের তিন-চার তলা বাড়ি আছে, তারা পাচ্ছে। আমি কেন পাব না?’’ হরি এ-ও জানান, বলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। এ বার ‘দাদা’কে কাছে পেয়ে শুধু নিজের কথা জানিয়েছেন। ওই সময় হরিকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন বিধায়ক।
কিন্তু এখনও মাথায় ত্রিপল ঢাকা দেওয়া বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে হরির পরিবারকে। হরি অসুস্থ হওয়ায় তাঁর স্ত্রী-ই বললেন, ‘‘এখনও আমরা এই ভাবেই থাকছি। বাড়ি তৈরির জন্য দরকারি যা যা কাগজপত্র দরকার, সবই জমা দিয়েছি। তার পরেও দু’মাস কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না।’’
এ বিষয়ে সিউরি পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব কর বলেন, ‘‘ওঁদের থেকে সমস্ত কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে। নতুন বোর্ড গঠন হলেই বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’’
এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে বিজেপি-র বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি উত্তম রাজক বলেন, ‘‘বিধায়কের পা ধরে বাড়ি চাওয়া এটা লজ্জার ব্যাপার। এর পর এত দিন কেটে গেলেও ওঁরা বাড়ি পেলেন না। তৃণমূলের সরকার কাটমানির সরকার। যে কাটমানি দেবে সেই বাড়ি পাবে, এটাই সত্যি।’’ যদিও অভিযোগের পাল্টা কোনও উত্তর দিতে চাননি বিধায়ক বিকাশ।