ED

মমতার সফরের পর দিনই বীরভূমের তৃণমূল কার্যালয়ে ইডি হানা! গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত বসতেন সেখানেই

রবিবারই বীরভূম জেলা সফরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রীয় ‘এজেন্সি’ নিয়ে কটাক্ষ করেন। সোমবার তৃণমূল কার্যালয়ে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১০
Share:

অনুব্রত মণ্ডল যে কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিল ইডি। —নিজস্ব চিত্র।

বীরভূমের বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার বিকেলে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ওই কার্যালয়ে আসেন ইডির তিন আধিকারিক। ইডির একটি সূত্রে খবর,গরু পাচার মামলার তদন্তেই এই অভিযান চলছে। এ নিয়ে শোরগোল ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাচক্রে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে ছিলেন। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় ‘এজেন্সি’র সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। আর সোমবার অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন সোমবার বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়— এই সমস্ত প্রশ্ন করা হয়।

তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির তিন প্রতিনিধি বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, ওই অফিসে বসে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি, তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ওই দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। পাশাপাশি ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতে গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘সিউড়ি, বীরভূমে চক্রান্ত করছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেষ্টকে কত দিন জেলে পুরে রেখে দিয়েছে! কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে সরাতে পারেনি।’’ এর পর বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, একই অভিযোগ আপনাদের নেতাদের নামেও আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হয়েছে?’’ পাশাপাশি সন্দেশখালি নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপির ‘সম্পর্ক’ নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement