Peanuts

Farmers: টানা বৃষ্টিতে জমিতেই পচছে ফসল, মাথায় হাত বীরভূমের বাদামচাষিদের

শাক-সবজির থেকে বাদামের দাম বেশি বলে বীরভূম জেলার বড় শিমুলিয়া গ্রামে বছর চারেক ধরেই মরসুমি ফসলের পরিবর্তে বাদাম চাষে মন দিয়েছেন কৃষকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিমুলিয়া শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১৯:৪২
Share:

ঘরের মেঝেয় ছেতো ফুটে যাওয়া বাদাম। —নিজস্ব চিত্র।

মরসুমি ফসলে তেমন লাভ নেই। তাই হিসেব কষে বাদাম চাষে পা বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে লাভের স্বপ্ন ধূলিসাৎ। খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন বীরভূমের বাদামচাষিরা। একটানা সাত-আট দিন ধরে ভারী বৃষ্টি এবং ঘূর্ণাবত, দুইয়ের জেরে পচন ধরেছে বিঘের পর বিঘে জমির বাদাম। পচনের হাত থেকে যদিও বা রক্ষা পেয়েছে, দাগ ধরে গিয়েছে বাদামে। বাদাম থেকে অঙ্কুরও গজিয়ে গিয়েছে। তাতেই মাথায় হাত বাদামচাষীদের।

Advertisement

শাক-সবজির থেকে বাদামের দাম বেশি বলে বীরভূম জেলার বড় শিমুলিয়া গ্রামে বছর চারেক ধরেই মরসুমি ফসলের পরিবর্তে বাদাম চাষে মন দিয়েছেন কৃষকরা। কেউ কেউ বিঘের পর বিঘে জমিতেই বাদাম চাষ করছেন। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এ বছর ফসল ঘরেই তুলতে পারেননি তাঁরা। জলকাদায় নেমে কেউ কেউ যেটুকু ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন, তাতে খরচও উঠে আসছে না। তাই সরকারি অনুদান পেলে সুরাহা হয় বলে মনে করছেন তাঁরা।

গ্রামের কৃষক শের আলি জানিয়েছে, প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে ১ বিঘা জমির ফসও ঘরে তুলতে পারেননি। শের আলি বলেন, ‘‘অন্য বছর প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল বাদাম পাওয়া যায়। এ বার ১০ বিঘা জমি মিলিয়েও ৪ কুইন্টাল ফসল ঘরে ওঠেনি। চার মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর লাভের মুখ দেখতে পেলাম না। খরচ পর্যন্ত ওঠেনি। কী ভাবে এই ক্ষতি পূরণ হবে জানি না।’’

Advertisement

এ নিয়ে শ্রীনিকেতনের কৃষি সহ-অধিকর্তা শেখ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ক্ষতিপূরণের নিয়ম পাল্টেছে। কৃষকরা না জানালেও,কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবি দেখে ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে ক্ষতিপূরণের। কৃষকরা না জানালেও আমরা নিজে থেকেই ব্যবস্থা নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement