প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে মাঠের ধান। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই মুখ ভার ছিল আকাশের। দুপুর গড়াতেই প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি। করোনা প্রকোপের মধ্যেই এ বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা লাগল বীরভূমে। মঙ্গলবারের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। আগামী দু’-তিন দিন ফের বৃষ্টি হলে, আর ধান বাঁচানো যাবে না বলে বলছেন তাঁরা।
বোরো ধান কাটার সময় শুরুর মুখেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব শুরু করেছে জেলা কৃষি দফতর। প্রশাসন সুত্রের খবর, এই মুহূর্তে জেলায় কিছু ধান ঘরে তোলার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু, ৭০ শতাংশ ধান এখনও মাঠেই আছে। আর সেগুলির অনেকটাই বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টানা বৃষ্টি হলে সবটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
বোলপুর এর বাঁধন গ্রাম এলাকার কৃষক বাবলু মাল বলেন, ‘‘আমরা গত কয়েক দিন ধরে মাঠে কাজ করছি। ধান তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু টানা বৃষ্টির ফলে কাজ এগোচ্ছে না। মাঠে যে ধানগুলো আছে, সেগুলো ঝরে যাচ্ছে ও গাছে পোকা হয়ে যাচ্ছে। আবার, যেগুলো কেটে মাঠে রাখা আছে যেগুলোও পচে যাচ্ছে। একমাত্র যারা ধান কেটে গোলায় তুলে নিয়েছে তারাই একমাত্র শান্তিতে আছে।’’
জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির জেরে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট তৈরি করার কাজ চলছে। তবে তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি।