—ছবি সংগৃহীত
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি, এ বারে ফসল-বিমার জন্যেও আবেদন করা যাবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরে। আগামী বুধবার থেকে শিবিরগুলিতে আবেদন নেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার উপকৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র। সোমবার বাঁকুড়ায় ‘ফসল-বিমা মনিটরিং কমিটি’র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে কোন ফসলের বিমার জন্য, কত দিন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে, তা-ও চূড়ান্ত হয়েছে। সুশান্তবাবু জানান, আলু, সর্ষে, মসুর, গম ও ছোলার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমার আবেদন করা যাবে। বোরো ধানের জন্য আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়া, গ্রীষ্মকালীন তিল, চিনাবাদামের জন্য আবেদনের শেষ দিন ১৫ মার্চ। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরের সঙ্গে স্থানীয় ব্লক কৃষি দফতরেও চাষিরা বিমার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
কৃষি দফতরের কর্তারা জানান, জেলায় ব্লক ভেদে বিভিন্ন ফসলের জন্য বিমা দেওয়া হয়। যেমন—বাঁকুড়া ২, ওন্দা, বড়জোড়া, তালড্যাংরা, সিমলাপাল, রাইপুর, সারেঙ্গার পাশাপাশি, বিষ্ণুপুর মহকুমার বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, জয়পুর, ইন্দাস, পাত্রসায়র ও সোনামুখী ব্লকের চাষিরা বোরো ধান ও আলুর জন্য ফসলবিমার সুবিধা পান। আবার, বাঁকুড়া ২, ছাতনা, গঙ্গাজলঘাটি, ওন্দা, বড়জোড়া, খাতড়া, রানিবাঁধ, সিমলাপাল, রাইপুর ও সোনামুখী, এই দশটি ব্লকে চাষিরা ছোলা চাষের জন্য ফসল-বিমা পান।
চিনাবাদামের জন্য বড়জোড়া, রাইপুর, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী ব্লকের চাষিরা ফসল-বিমা পান। তবে, মসুর, সর্ষে ও গ্রীষ্মকালীন তিল চাষের জন্য জেলার প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই বিমা পেয়ে থাকেন। কৃষিকর্তারা জানান, কেবল আলু চাষের ফসলবিমার ক্ষেত্রেই কিস্তির ৪.৮৫ শতাংশ চাষিদের দিতে হয়। অন্য ফসলের বিমার ক্ষেত্রে পুরো ভর্তুকিই দেয় রাজ্য সরকার।
গত খরিফ মরসুমেই জেলার একশো শতাংশ চাষিকে ফসল-বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল জেলা কৃষি দফতর। দফতরের দাবি, সেই লক্ষ্য পূরণও হয়েছে। গত বছরে অসময়ের বৃষ্টিতে জেলায় আলু চাষ ক্ষতির মুখে পড়ে। জেলার প্রায় ২২ হাজার আলুচাষি সামগ্রিক ভাবে ৪২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সুশান্তবাবুর কথায়, “আগামী দিনেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যাপক ভাবে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”