সোনামুখীতে। নিজস্ব চিত্র
‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগানের ভাঙাগড়া বজায় রইল বৃহস্পতিবারেও। ২০১১ সালে ‘পরিবর্তনের’ জমানায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সে স্লোগানে ‘বদলা’ এবং ‘বদল’— শব্দ দু’টো জায়গা বদলাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের কথায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে কী হবে, তা বোঝাতে গিয়ে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে প্রকাশ্য সভায় দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘কোনও বদল নয়। বদলাই চাই।’’ ঘটনাচক্রে, প্রায় একই সুরে এ দিন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে আর এক বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াও বলেছেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে সব হিসেবনিকেশ চোকানো হবে।’’
গত ২২ জুন পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপির গোলমাল হয়। বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডল সভাপতি তমালকান্তি গুঁইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাতে ঝামেলা আরও বাড়ে। এ দিন সেই কাঁকরডাঙা মোড়ের সভায় দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘তমালকান্তি গুঁইকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে। যে সব তৃণমূল নেতারা এখনও ধমকাচ্ছেন, চমকাচ্ছেন, যে সব পুলিশ কর্মী এখনও মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন, তাঁদের নাম লিখে রাখুন। আমরা (ক্ষমতায়) এসে এর হিসেবে বুঝে নেব। কোনও বদল নয়। বদলাই চাই।’’জেলা বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করিয়ে দিয়েছেন গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ারই ওন্দায় তৃণমূলের এক জেলা নেতা অরূপ চক্রবর্তীও বিজেপি প্রসঙ্গে ‘বদল নয়, বদলাই হবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, ‘‘দিলীপবাবুর কথার জবাব মানুষ বিধানসভা ভোটে দেবেন।’’
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় দফায় শপথগ্রহণের দিনে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে নিহত হন বিজেপি কর্মী সুশীল মণ্ডল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। এ দিন সুশীলবাবুর বাড়িতে গিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘পাপের জবাব দিতে হবে। ক্ষমতায় এলে সব হিসেবনিকেশ চোকানো হবে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। সাংসদ এলাকায় গিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন।’’