—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুর-প্রতিনিধিদের একাংশকে ‘ভাঙানোর’ চেষ্টা শুধু নয়, কংগ্রেস পরিচালিত পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভাকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য তহবিল দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও তুলেছিলেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ বারে টাকা না মেলায় পুরসভায় উন্নয়নের কাজ থমকে যাচ্ছে বলে সরব হলেন ঝালদার পুর-কর্তৃপক্ষ। ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তহবিল না আসায় অনেক কাজ থমকে রয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে দরবারও করা হয়েছে। এথনও তহবিল মেলেনি।
ঝালদা পুরসভা সূত্রে খবর, ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য নতুন করে তহবিল আসেনি। উল্টে কয়েক মাস আগে ওই খাতে পুরসভার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওয়ার্ডগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজ, যেমন—নতুন রাস্তা, নিকাশি নালা, কমিউনিটি হল তৈরি থেকে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে মোট ৪০টি কাজের জন্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার আবেদন জানানো হলেও তা মেলেনি বলে দাবি। তহবিল আদায়ে দরকারে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী।
কী সমস্যা রয়েছে পুর-শহরে? শহরবাসীর একাংশের দাবি, জল-সমস্যা আগের মতো রয়ে গিয়েছে। বহু বার আশা জাগানো হলেও সুবর্ণরেখা জলপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। রিমা চন্দ্র, বিপ্লব অধিকারীরা বিরক্তির সুরে বলেন, “শুধু পুরসভার রং বদলাচ্ছে। আর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নই যেন গৌণ হয়ে যাচ্ছে।” অনেকের দাবি, বর্তমান পুরবোর্ডের আমলে দৈনন্দিন কাজগুলি কোনও মতে চললেও নতুন কাজে হাত পড়ছে না। ভাঙাচোরা পথবাতি, বেহাল নালা বা খন্দে ভরা রাস্তার ভোগান্তি শেষ হবে, উঠছে প্রশ্ন।
পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, “শুধু ঝালদাকে নিয়ে শাসকের যত সমস্যা। কই বাকি দুই পুরসভা, পুরুলিয়া বা রঘুনাথপুরের ক্ষেত্রে তো কোথাও তহবিলের সমস্যা নেই!” প্রকল্পের বরাদ্দ পেতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি দরকারে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, জানান তিনি। কংগ্রেসের তোলা বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ যদিও মানতে চায়নি তৃণমূল। দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, “আমাদের সরকার নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। উন্নয়নের প্রশ্নে সবাইকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। হতে পারে ঝালদা পুরসভার তরফে এ নিয়ে তদারকির অভাব রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”