ডেউচা পাচামিতে রাজ্য সরকার গঠিত কমিটির সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের মহম্মদবাজারের ডেউচা-পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনিতে বাধা দেওয়ার ‘মনোভাব’ নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনটাই মত প্রস্তাবিত ওই কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে গঠিত সরকারি কমিটির সদস্যদের। রবিবার ওই কমিটির সদস্যরা এলাকায় গিয়ে কথা বলেন মাঝি হারামদের সঙ্গে। এর পর তাঁরা বৈঠক করেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গেও।
ডেউচা-পাচামি এলাকায় কয়লা খনির জন্য রাজ্য প্যাকেজ ঘোষণার পর ন’জনের একটি কমিটি গঠন করে রাজ্য। ওই কমিটি এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকারকে। রবিবার কমিটির কয়েক জন সদস্য হরিণশিঙা গ্রামে যান। সেখানে তাঁরা কথা বলেন মাঝি হারামদের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন যে প্যাকেজ নিয়ে অখুশি তা মেনে নিয়েছেন তাঁরা। সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরে তাঁর সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনাও করেন ওই কমিটির সদস্যরা।
তন্ময় ঘোষ নামে ওই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরো বিষয়টি থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, মানুষ কী চান। কমিটির পক্ষ থেকে আমরা মনে করছি সকলের কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। সবে প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে। মানুষ তাঁদের মতো ভাবছেন। আমরা বলেছি, তাঁদের সমস্ত কথা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিছু কিছু মানুষ কতগুলি পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। আমরা আশ্বাস দিয়েছি মানুষ এবং পরিবেশের স্বার্থ যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তা দেখা হবে।’’
তন্ময় জানিয়ে দেন, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের কাছে কিছু দাবির কথা জানিয়েছেন। তবে সেই দাবিগুলি কী তা খোলসা করেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মাঝি হারামদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। অতিরিক্ত দাবি থাকলে তাঁরা জানাবেন। প্রকল্প হবে না এমন মনোভাব ওঁদের নেই। অনেকে ভয়ে আছেন। তার কারণ পুরো বিষয়টা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। প্রশাসনকেও বিষয়টি বোঝানোর কথা বলা হয়েছে।’’
গত বৃহস্পতিবার হরিণশিঙার মাঠে হওয়া একটি বৈঠকে কয়লা খনির বিপক্ষে রায় দেন স্থানীয় মোড়লরা। ওই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার যে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন আদিবাসী সমাজের মোড়লরা। এর পর রবিবার গ্রামে যান রাজ্য সরকারের তৈরি করা কমিটির সদস্যরা।