দেওয়ানগঞ্জে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা জেলাশাসকের। নিজস্ব চিত্র।
ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় কয়লা খনির পক্ষে জনমত তৈরি করতে এ বার সক্রিয় হল বীরভূম জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলতে পৌঁছালেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়। দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন।
ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা শিল্পকে ঘিরে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের ‘তৎপরতা’ ধীরে ধীরে বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই বহু গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন। যদিও এই শিল্পকে ঘিরে, একের পর এক বিভ্রান্তিমূলক ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও আন্দোলন, কখনও অবরোধ কখনও বিক্ষোভের সাক্ষী হয়েছে ডেউচা-পাঁচামি এলাকা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে তাই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ সরাসরি মাঠে নামলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান।
বৃহস্পতিবার বিধান ডেউচা এলাকার দেওয়ানগঞ্জ গ্রামে যান। তিনি কথা বলেন ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এই দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকেই প্রথম পর্যায়ে কয়লা খনির কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন ছিল।
ডেউচা এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি। কারণ, ওই এলাকার অনেক গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকের কাছেই নিজের নামে জমি নেই। আবার অনেকের রেকর্ড বা মিউটেশন করানো নেই। এমনই নানা সমস্যার কথা বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের সামনে তুলে ধরে এলাকার মানুষেরা। সব সমস্যার সমাধান করে জমির প্রকৃত মালিকদের ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ওই এলাকায় কয়লাখনির পক্ষে মিছিল করতে গিয়ে অশান্তি বেধেছিল। জেলাশাসক নিজে কথা বলার পর, পরিস্থিতি কতটা পাল্টায়। সেটাই এখন দেখার।