জাতীয় সড়কে চলছে ভ্যান। নলহাটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে। নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মনসুবা মোড়ে যন্ত্রচালিত ভ্যানের সঙ্গে পিকঅ্যাপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল চার মহিলার। এর পরেই পুলিশ প্রশাসন জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে যন্ত্রচালিত ভ্যানে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ নিয়ে মাইকে প্রচারও করে। অভিযোগ, তার পরেও জাতীয় সড়কে যন্ত্রচালিত ভ্যানে যাত্রী পরিবহণ চলছে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত যাত্রীদের একাংশ।
যাত্রীদের একাংশ জানান, যন্ত্রচালিত ভ্যানে যাতায়াতের খরচ কম। গরিব মানুষ তাই টোটো, অটো ও বাসের বদলে যন্ত্রচালিত ভ্যানেই বেশি যাতায়াত করেন। যদিও তাঁরা জানেন এই যন্ত্রচালিত ভ্যানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। এই ভ্যানগুলির কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। থাকে না কোনও বিমার ব্যবস্থাও। মনসুবা মোড়ের দুর্ঘটনার পরেও পুলিশের নজর এড়িয়ে নলহাটি, মুরারই ও পাইকর রাস্তায় যন্ত্রচালিত ভ্যান যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ।
যাত্রীদের একাংশের দাবি, “প্রায়ই যন্ত্রচালিত ভ্যান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যাঁরা এই ভ্যানে যাতায়াত করেন তাঁরা দুঃস্থ হওয়ায় দুর্ঘটনার পরে চিকিৎসার খরচ চালাতে সমস্যায় পড়েন। ঝুঁকির এই যাতায়াত অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশ প্রশাসন দিন কয়েকের জন্য তৎপর হয়। তার পরে যে-কে-সেই। মনসুবা মোড়ের দুর্ঘটনায় যে চার জন মহিলার মৃত্যু হয়েছিল তাঁরা সকলেই খেতমজুর। এর পরেও জাতীয় সড়কে যন্ত্রচালিত ভ্যানে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। যন্ত্রচালিত ভ্যানে যাতায়াত বন্ধে পুলিশ প্রশাসন তৎপর না হলে আন্দোলন শুরু হবে।”
তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের চোখ এড়িয়ে মনে হয় কিছু যন্ত্রচালিত ভ্যান চলছে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর। বিরোধীরা এই নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছেন।”