ফাঁকা: বাস চললেও ভিড় নেই। বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
অফিস খুলেছে। তাই বেড়েছে বাসের প্রয়োজনীয়তাও। তবে বাসমালিকেরা বেশি বাস নামানোর আশ্বাস দিলেও ভোগান্তি পুরোপুরি কমল না সোমবারও। কিছু রুটে বাস কম থাকায় ভুগতে হয় অফিসযাত্রীদের।
এ দিন সাড়ে নটা নাগাদ রামপুরহাট বাসস্ট্যাণ্ডে গিয়ে দেখা গেল গত সাত আট দিনের থেকে অনেক বেশি বাস বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীদের ভিড়ও বিগত সাত আট দিনের থেকে বেশি। বিভিন্ন রুটের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন সাতেক থেকে রামপুরহাট বিষ্ণুপুর রুটের বাস চলছিল না। সোমবার দেখা গেল ওই রুটের তিন চারটে বাস বাসস্ট্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে আছে। রামপুরহাট বুধিগ্রাম রুটেও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রামপুরহাট রঘুনাথগঞ্জ, রামপুরহাট বহরমপুর রুটে বাস চলাচল সোমবার থেকে ফের চালু হয়েছে। বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সম্পাদক জামারুল ইসলাম জানালেন, সোমবার রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় সব রুটে ১০০টির কাছাকাছি বাস চলাচল করছে।
তবে বাসের সংখ্যা বাড়লেও রামপুরহাট সাঁইথিয়া রুটে বাস অপর্যাপ্ত থাকার জন্য সাধারণ যাত্রী থেকে নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। রামপুরহাট থানার ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল মাল জানান তিনি স্ট্যান্ডে পৌঁছে শোনেন সকাল সাড়ে নটায় সাঁইথিয়া যাওয়ার বাস বেরিয়ে গিয়েছে। পরের বাস পৌনে বারোটায়। প্রায় আড়াই মাস পরে রামপুরহাট আদালত খুলছে জেনে আদালতে নাজিরখানার কর্মী বিজন মণ্ডল বাসে সাঁইথিয়া থেকে রামপুরহাট আসেন। বাসস্ট্যান্ডে এসে শোনেন এগারটা পঁয়তাল্লিশের পরে সাঁইথিয়া যাওয়ার আর কোনও বাস নেই। অফিস ছুটির পরে বিকেলে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন সেই চিন্তায় কাজে মন দিতে পারেননি বিজন মণ্ডল।
বাসের ভরসায় না থেকে অনেকে নিজেরাই ব্যবস্থা করেছেন যাতায়াতের। কাজে যোগদান করার জন্য রামপুরহাট আদালতের তিন কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুশো থেকে আড়াইশো কিলোমিটার পথ মোটরবাইক চালিয়ে হুগলির বলাগড় থানার গোঁসাইপাড়া, চুঁচুড়া, হুগলি থেকে রবিবার রাতে রামপুরহাট পৌঁছন। আদালতের অন্য বিভাগের এক কর্মী নদিয়ার বগুলা থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বাইকে করে রামপুরহাট পৌঁছন। মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কলকাতা হাওড়া এই সমস্ত এলাকা থেকে আসা কর্মীরা অনেকেই সরকারি বা বেসরকারি বাসের ভরসায় না থেকে গাড়ি ভাড়া করে রবিবার রাতে রামপুরহাট এসে পৌঁছন।