কাটজুড়িডাঙায়। নিজস্ব চিত্র।
স্নাতক চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের আগের সিমেস্টারের ‘সাপ্লিমেন্টারি’ পরীক্ষা দ্রুত নিয়ে নেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ হল। উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে বিক্ষোভ থামে। তবে এ দিনও উপাচার্য জানিয়েছেন, সিমেস্টারের পরীক্ষা যখন হবে, তখনই ওই পড়ুয়ারা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে পারবেন।
চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেক ছাত্রছাত্রী তার আগের পরীক্ষায় কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। ওই বিষয়ে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় পাশ না করা পর্যন্ত তাঁদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে না। সে ক্ষেত্রে তাঁরা চাকরিতে যোগ দিতে বা উচ্চশিক্ষার জন্য কোথাও ভর্তি হতে পারবেন না। সেই সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ‘বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিটি’।
সোমবার বিভিন্ন কলেজের ওই পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অবস্থানের জেরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে ছিলেন কর্মীদের একাংশ। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, সে দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হন পড়ুয়াদের একাংশ। মিছিল করে শহরের কাটজুড়িডাঙা এলাকায় গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘণ্টাখানেক পরে উপাচার্য বেরিয়ে এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরে বিক্ষোভ থামে।
এ দিন পড়ুয়াদের তরফে রজত পান্ডা দাবি করেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের নির্দেশ রয়েছে, কলেজের চূড়ান্ত সিমেস্টারে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের আগের সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দ্রুত নিয়ে নিতে হবে। ওই পরীক্ষায় পাশ করলে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ মিলবে। সময় নষ্ট হবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেই নিয়ম মানছে না।”
উপাচার্য দেবনারায়ণবাবু এ দিনও দাবি করেন, “দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেয়নি। যথা সময়ে যখন সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে, ওই পড়ুয়ারা তখন ফের পরীক্ষায় বসতে পারেন।”