গত সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। প্রতীকী ছবি।
পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর শেষে বাড়ির সামনের শৌচাগারের শকপিট থেকে উদ্ধার করা হল বছর পঁয়তাল্লিশের এক যুবকের বস্তাবন্দি দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকার রাঙ্গনীটাড় গ্রামে। মৃতের নাম জুড়ন মাহাতো।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজ করার পর বুধবার জয়পুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর থেকেই খোঁজ চলছিল ওই ব্যক্তির। শনিবার সকালে স্থানীয় এক মহিলা জুড়নের স্ত্রী উত্তরা মাহাতোকে ওই শকপিটের কাছে সন্দেহজনক কিছু করতে দেখেন। তার পরই তিনি বিষয়টি জুড়নের পরিবারকে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জয়পুর থানার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর উপস্থিতিতেই শকপিটটি খোঁড়া শুরু করে পুলিশ। একটি বস্তার ভিতরে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জুড়নের মৃতদেহ। এর পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুড়ন এবং উত্তরার বৈবাহিক সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। জুড়নের ছেলে অপূর্ব মাহাতো বলেন, “আমার মা অন্য কাউকে ফোন করত, তাই নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া হত হামেশাই।” জুড়নের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই স্ত্রী উত্তরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আপাতত তিনি জয়পুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জুড়নকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্যই দেহ পুঁতে ফেলা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। রবিবার মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হবে।
জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খবর পাওয়ার পর যাবতীয় নিয়ম মেনে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আমরা একটি স্বতপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”